



আসাদুল্লা সরকার ও আবুল হাসান ★ কলকাতা : স্রোতে থেকেও স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে গিয়েছেন সদ্য প্রয়াত কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী (Arun Kumar Chakraborty)। এই সময়ের প্রতিষ্ঠান ও প্রাতিষ্ঠানিক লেখকরা তাঁকে জায়গা ছাড়েননি। কিন্তু বর্ষীয়ান কবি অজস্র সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের মনে নিজের জায়গা নিজযোগ্যতায় অর্জন করে নিয়েছেন। এবং সময় তাঁকে একজন কবি হিসেবেই মনে রাখবে।
অন্যদিকে, ওঁর লেখকসত্তাকে মফসসল, গ্রামীণ ও পাহাড়কেন্দ্রীক মানুষের জীবন যাপন এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। পাহাড়ী, আদিবাসী ও লোকায়ত জীবনের ও যাপনের প্রতি কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী-এর টান প্রকৃতভাবেই একজন কবির এক নিরন্তর কিছু খুঁজে চলারই প্রকাশ। অরুণ কুমার চক্রবর্তী-এর হৃদ্যতা, চকলেট উপহার দিয়ে বাক বিনিময়, আদ্যন্ত বাউলিয়া যাপন, প্রাণের স্ফূর্তিতে সাহিত্যের জন্য পথ হাঁটা, সাহিত্যে একটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন ওঁর গুণমুগ্ধ অগুনতি পাঠক।
শুধু তা-ই নয়, কবির সুমিষ্ট কবিতা পরবর্তীতে গান হয়ে সাধারণ মানুষের মনে হিল্লোল তোলে। অনেক কাব্য সমালোচকই এবিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। কেউ মনে করেন, এতে কবির পরিধি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি মানুষ চিনেছে আপনভোলা একজন কবিকে। আবার অন্য সমালোচকদের মতে, কোথাও গিয়ে ক্ষুণ্ণ হয়েছে ওঁর লেখার গতিপথ! এই তো সেই দিনও তিনি আলোচনা-সমালোচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে সবশুনে শুধু মিটিমিটি হেসেছেন!
উল্লেখ্য যে, গত রবিবার ‘কফিহাউসের চারপাশে’ পত্রিকার আয়োজন করেছিল সদ্যপ্রয়াত কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তীর স্মরণ অনুষ্ঠান। পত্রিকাটির সম্পাদক কবি মৃণালকান্তি সাহা তাঁর স্বাগত বক্তব্যে কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তীর সম্পর্কে অনেক অজানা কথা শোনান। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন কবি কমল দে শিকদার, অলোক বিশ্বাস, কেশবরঞ্জন, সাকিল আহমেদ, বিধানেন্দু পুরকাইত, কাজল চক্রবর্তী, বাদল চৌধুরী, পঙ্কজ সাহা, সত্যকাম দাঁ, অনিতা দে, রীতা বেরা পাল প্রমুখ। উপস্থিত সকলে সদ্য প্রয়াত কবির প্রতিকৃতিতে ফুল ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। আলোচনা করেন কবির গান, কবিতা, সাহিত্য ও ব্যক্তিজীবনের নানান দিক নিয়ে। 🍂
আরও পড়ুন : Arpita Mukherjee : শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন অর্পিতা
