



সাশ্রয় নিউজ ডেস্ক ★ কলকাতা : রাজাবাজার থেকে শ্যামবাজার বামফ্রন্টের মিছিল (Left Front Rally)। মঙ্গলবারের মিছিলে পথে দেখা যায় সিপিআই(এম) তথা বামফ্রন্টের বরিষ্ঠ নেতৃত্বকে। মিছিলের আগে মহিলা নেতৃত্ব পেছনে দলের অন্যান্য নেতৃত্ব পথ হাঁটেন।

খান্না মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোয় মিছিল। শ্যামবাজারে বিশাল পুলিশী প্রহরা। মিছিলে লাখো মানুষের গর্জন। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের ন্যায্য শাস্তি দাবি ওঠে মিছিল থেকে।
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে শুধু বাম-সমর্থকরা। সঙ্গে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ বামফ্রন্ট নেতৃত্ব কর্মীদের মনবল বাড়িয়ে এগিয়ে গেলেন একই সঙ্গে। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘আরও কিছুক্ষণ অবস্থান হবে। পুলিশ মিছিল আটকাতে চেয়েছিল। মানুষ বিচার চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা অধিবেশন ডেকে তামাশা করছেন। পুলিশ কেন হাসপাতালে হামলা আটকাতে পারল না আগে তার জবাব দিতে হবে। বাধা কেবল দেওয়া হচ্ছে প্রতিবাদীদের।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কোনও ব্যারিকেডকে মানুষ ভয় পায় না। মেয়েটার রক্তের দাগ পুলিশের গায়ে লেগে আছে।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘প্রতিদিন মানুষ রাত জাগছে, পথে নামছেন। যারা এই প্রতিবাদে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাঁদের লাল সেলাম। চিকিৎসকে যে ভাবে
ধর্ষণ করা হলো, প্রমাণ লোপাট করা হলো তৃণমূলের লোকদের এনে। কালীঘাটের নির্দেশে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে।’’ তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘‘লড়াই পুলিশের বিরূদ্ধে নয়। কিন্তু যখন ধর্ষণ হয় তখন পুলিশ কী করে। বিনীত গোয়েলের আইপিএস ব্যাচ ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত। কামদুনি ধর্ষণ হত্যায় প্রমাণ লোপাট করেছেন তিনি। মমতার আমলে ধর্ষনের কোন শাস্তি হয়নি। তাদের আড়াল করছে কালীঘাট। আর উনি আইন দেখাছেন। বিধানসভা হোক বা সংসদ যারা অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারেনা তখন বিচার ছিনিয়ে আনতে হয়। আমরা বিচার ছিনিয়ে আনতে এসেছি।’’
ছবি : সংগৃহীত
আরও খবর : Telangana Flood : সাহসী যুবক বাঁচালেন নয়টি জীবন
