



বিমানের ভেতরে চিকিৎসা করেই শিশুর প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসক
সাশ্রয় নিউজ ★ নতুন দিল্লি : রাঁচী থেকে দিল্লিগামী এক বিমানে ওঠেন একজন মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর ছয় মাসের শিশু সন্তান। ইণ্ডিগোর ওই ফ্লাইট আকাশে উড়তেই শিশুটির তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ইণ্ডিগো সূত্রে খবর, অসুস্থ সন্তানের দিকে চেয়ে বিমান কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর সন্তানকে বাঁচানোর জন্য কাতর আবেদন করেন। সেই সময় তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন দুই চিকিৎসক। আই এ এস অফিসার নীতিন কুলকার্নি ও ডাঃ মোজাম্মিল ফিরোজ। দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করেন তাঁরা। যদিও তাঁদের হাতের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জম কিছুই ছিল না। এমনকী অক্সিজেন লেভেল দেখার জন্য ছিল না অক্সিমিটার। বড়দের অক্সিজেন মাক্স দিয়েই ওই দুই চিকিৎসক শিশুটিকে অক্সিজেন দিতে শুরু করেন। ডাঃ কুলকার্নির কথায়, “শিশুদের জন্য অক্সিজেন মাস্ক ছিল না। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের মাস্ক দিয়েই শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। শিশুটির মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানা যায়, সে জন্মগতভাবে হার্টের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শিশুটির শ্বাসকষ্টের জন্য তৎক্ষণাৎ বিশেষ ইঞ্জেকশনের দরকার ছিল। যার মধ্যে একটি শিশুটির মায়ের কাছে ছিল।” শনিবার বেলা ৯ টা ২৫ মিনিটে বিমান দিল্লি বিমান বন্দরে অবতারণ করলে সেখান থেকে শিশুটিকে অক্সিজেন সাপোর্টে দিল্লি এইমস হাসপালে পাঠানো হয় বলে খবর। তার আগে প্রায় ডাঃ ফিরোজ ও কুলকার্নির ১ ঘন্টারও বেশি সময় যাবৎ চেষ্টায় বিপন্মুক্ত করেন। যাত্রীরা ওই দুই চিকিৎসককে ‘ঈশ্বরের দূত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বলে উল্লেখ।
ছবি : প্রতীকী
