



সাশ্রয় নিউজ ★ আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইলন মাস্ক (Elon Musk) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসনে তাঁর ১৩০ দিনের পরামর্শদাতা পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মাস্ক ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (DOGE) -এর প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ফেডারেল সরকারের ব্যয় হ্রাস ও দক্ষতা বৃদ্ধি। তবে এই উদ্যোগটি বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে।
DOGE-এর অধীনে মাস্কের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বাজেট কমানো হয়, যার মধ্যে ছিল ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স ও USAID। এই সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে এবং মানবিক সহায়তা ও জনসেবা হ্রাস পায়। মাস্ক দাবি করেন যে, DOGE প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার সঞ্চয় করেছে, তবে এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের হঠাৎ পরিবর্তন সরকারি কার্যক্রমে পরবর্তীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে উল্লেখ, ইলন মাস্কের (Elon Musk) পদত্যাগের পেছনে একটি বড় কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের একটি নতুন বাজেট বিল, যা প্রায় ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব করে। মাস্ক এই বিলের সমালোচনা করে বলেন, এটি DOGE-এর ব্যয় হ্রাসের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেবে। এবং বাজেটে ঘাটতি বাড়াবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই বিলের কারণে তার কাজের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে।
মাস্কের পদত্যাগ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক মন্তব্য ও সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মাস্কের নেতৃত্বে DOGE-এর অধীনে নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস তৈরি করা হয়, যা অনেকের মতে নাগরিক অধিকার ও গোপনীয়তার জন্য হুমকি। বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগকে “বিপজ্জনক দরজা” বলে অভিহিত করেছেন।
মাস্কের পদত্যাগের পর, ট্রাম্প প্রশাসন DOGE-এর নেতৃত্বে র্যাডিকাল রাইট-উইং চিন্তাধারার রুস ভটকে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে উল্লেখ। অনেকের মতে এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আরও বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। মাস্ক নিজে বলেছেন যে, তিনি এখন তার কোম্পানি টেসলা ও স্পেসএক্স-এর উপর বেশি মনোযোগ দেবেন। অন্যদিকে, মাস্কের পদত্যাগের খবরের পর টেসলার শেয়ার মূল্য ৪.২% বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।
ইলন মাস্কের ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল। তাঁর পদত্যাগের ফলে মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে তাঁদের মত। DOGE-এর অধীনে মাস্কের কার্যক্রম ও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সরকারি নীতি প্রণয়ন, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে নতুন প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে বলে উল্লেখ।
ছবি : সংগৃহীত
আরও খবর : Mutton Curry : জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের মন জিততে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু মাটন কষা
