



পিনাকী চৌধুরী :: সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব (Durga Puja)। একদিকে অভয়া কাণ্ডের বিচার চেয়ে রাজপথে পুজোর দিনগুলোতেও প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে জমজমাট পুজোর আয়োজন। বাস্তবে শারদীয় দুর্গোৎসব মানেই যেন বাঙালির কাছে এক সব পেয়েছির দেশ! নতুন জামা কাপড় পরে আট থেকে আশি- সবাই প্রতিমা দর্শন এবং প্যাণ্ডেল হপিং করতে ব্যস্ত। কিন্তু দুর্গা পুজোর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী তিথির আগে ‘মহা’ যুক্ত হয়েছে কেন? আসলে কালিকাপুরাণে এই দুর্গোৎসবকে মহোৎসব বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কিন্তু দুর্গা পুজোর তিথিগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র মহানবমীর উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে -‘ততেহ নু নবমী যা স্যাৎ স্যাৎ সা মহানবমীস্মৃতা মা তিথিঃ সর্বলোকানং পূজানীয়া শিবপ্রিয়া।’ যার অর্থ হল, মহানবমী শব্দটি হল শাস্ত্রসম্মত।

আর সেই কারণেই এখনও অনেক জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজো কেবলমাত্র মহানবমীতেই আয়োজন করা হয়। শাস্ত্রে মতে এই মহানবমীতেই দেবী শিবেরও আরাধ্যা বা সিদ্ধিদাত্রী হিসেবে ধরা দিয়েছেন। যদিও এখন হামেশাই শোনা যায় মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, এমনকী মহাপঞ্চমী ইত্যাদি ইত্যাদি। শাস্ত্রজ্ঞরা যদিও বলে থাকেন যে, সুদূর অতীত অনেক বনেদি পরিবারের দুর্গোৎসবের সূচনা হতো মহালয়ার পরপরই। এবং সেই শুভ সূচনায় উপস্থিত থাকতেন সমাজের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। যেসব বনেদি পরিবারের দুর্গোৎসবের বয়স দেড়শো বা দুশো বছর সেইসব পরিবারের দুর্গোৎসবের এলাহি আয়োজন করা হত এবং অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠা সহকারে পুজো সম্পন্ন হত। যেহেতু সমাজের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকতেন সেইসব দুর্গোৎসবে, সেই কারণেই মহাপঞ্চমী, মহাষ্টমী, মহাসপ্তমী, এইরকম নামকরণ করা হয়েছে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
কভার ছবি : সংগৃহীত
আরও খবর : Ratan Tata Demise: প্রয়াত রতন টাটা, দেশ জুড়ে শোকের ছায়া
