



সাশ্রয় নিউজ ডেস্ক ★ কলকাতা : শোকস্তব্ধ রাজ্য। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআই (এম) নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhatacharjee) অনেক পার্টি সমর্থকই বিশ্বাস করতে পারছেন না, বুদ্ধবাবু আর নেই এই জগতে নেই। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তাঁর প্রিয় পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে। প্রিয়জন ও অজস্র পার্টি কর্মীদের অশ্রুতে ভিজছে বাঙলার মাটি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তৎকালীন ক্যাবিনেট মন্ত্রী অনন্ত রায় কেঁদে ফেলেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, ‘অভিভাবককে হারিয়ে ফেললাম। দাদার মতো ছিলেন। কোচবিহারের দেশি আলু খেতে খুব ভালবাসতেন। আর নুনিয়া ভোগ চাল। তোর্ষার বোরোলির কথাও খুব বলতেন। এখানকার লোকসংস্কৃতিকে গোটা দেশের সামনে তুলে ধরতে তিনি নানা প্রয়াস চালিয়েছেন। পঞ্চানন বর্মার স্মৃতিতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। জননেতা ছিলেন। তাঁর সহজ সরল জীবন খুব কাছ থেকে দেখতাম আর মুগ্ধ হয়ে যেতাম। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে মাঝেমধ্যে যেতাম। অত ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন।’ অনন্ত রায় স্মৃরিচারণে বলেন, ‘খবরটা শোনার পর থেকেই মন ভাল নেই। জেলা পরিষদের সভাধিপতি থাকার সময় থেকেই তাঁর কাছে যেতাম। এত স্নেহ করতেন, আমি কখনও ভুলব না। জেলা সম্পাদক চন্ডী পালের মুখে শুনতাম, বু্দ্ধবাবু বলতেন, হ্যাঁ রে, ছেলেটা ঘুমোয় না সারা দিন রাত চষে বেড়ায়।’ অনন্তবাবু আরও বলেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে সব ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন, নানা পরামর্শ দিতেন। ২০০৬ সাল, বিধানসভা নির্বাচন। পার্টি থেকে শুনলাম বিধানসভা ভোটে দাঁড়াতে হবে আমাকে। সেই মতো আমি দাঁড়ালাম। জিতে গেলাম। আর প্রথমবার বিধায়ক হয়েই আমায় বনমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হল। হয়ত কলকাতায় রয়েছি। বুদ্ধবাবুর ফোন করতেন, চলে আয় আমার চেম্বারে। নানা বিষয় নিয়ে জানতে চাইতেন। নানা পরামর্শ। বলতেন, বন্য জীবজন্তু যাতে সুরক্ষিত থাকে সেটা সবসময় দেখিস। বার বার বলতেন, পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখিস।’ উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (Former Chief Minister Buddhadeb Bhatacharjee) দেহ বৃহস্পতিবার রাখা থাকবে পিস হেভেনে। শুক্রবার বুদ্ধবাবুর দেহ হাসপাতালের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ।
-ফাইল চিত্র
আরও খবর : Buddhadeb Bhattacharya Demised : প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
