Sasraya News

Saturday, June 14, 2025

Article : ভারতবর্ষের প্রথম পুস্তকমেলা, গ্রন্থমেলা বা বইমেলা

Listen

গদ্য 🦋

কুণাল কান্তি দে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমায় জন্মেছেন, বর্তমানে বহরমপুর শহরে স্থায়ী বাস করছেন। শিকড় জঙ্গিপুরে। দীর্ঘ ৫৫ বছর থেকে মূলতঃ গল্প লিখে খ্যাতি লাভ করেছেন। এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০০ ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা তিনটি ছোটগল্প সংকলন  যথাক্রমে ১.গল্পের মিছিল ২. অন্তরাদির কথা ৩. সিঙ্গল মাদার। তাঁর সম্পাদিত জনপ্রিয় গ্রন্থ ভারতবর্ষের প্রথম বইমেলার ইতিবৃত্ত স্মরণে ও মননে জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলা ১৯৬৩ সম্পাদনা করে বিপুল খ্যাতি লাভ করেছেন। এ ছাড়া আকাশবাণী কলকাতা, আকাশবাণী মৈত্রী, আকাশবাণী মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ছোটগল্প পাঠ করে আসছেন। বহু পুরস্কার, জীবনকৃতি সংবর্ধনা অর্জন করেছেন। মাতৃভূমি জঙ্গিপুরে একাধিকবার বইমেলার উদ্বোধন করেন। লোকসংস্কৃতি নিয়ে তাঁর গবেষণা বিদগ্ধ মহলে খ্যাতি লাভ করেছে। আজকের পাতায় রইল কুণাল কান্তি দে -এর একটি গদ্য। 

 

 

ভারতবর্ষের প্রথম পুস্তকমেলা… 

 

পুস্তকমেলা, গ্রন্থমেলার আধুনিক নামকরণ ‘বইমেলা’ বা বুক-ফেয়ার। গ্রামগঞ্জ, মহকুমা তথা জেলা শহর সর্বত্রই এই উৎসবে আমজনতার বৃহৎ অংশ এখন যোগ দিচ্ছেন। কলকাতা থেকে সদ্য প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা বই বর্তমানে পাঠকের হাতে উপস্থিত হচ্ছে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশকগণ যেমন বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে বিভিন্ন বয়সের ভিন্ন রুচির পাঠক-পাঠিকারা পছন্দ মত বই কেনার সুযোগ পাচ্ছেন বইমেলার কল্যাণে। ষাট বছর আগে এই চিত্র ছিল না বঙ্গদেশে। রাজ্য এমনকী সর্বভারতীয় স্তরেও বইমেলার পত্তন হয়েছে একথা শোনা যায়নি।

 

 

১৯৭১ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলা কমিটি গঠিত হবার পর ১৯৭২ সালকে আন্তর্জাতিক গ্রন্থ বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং পাঠক-পাঠিকাদের বই কেনার আগ্রহ সৃষ্টি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত লেখক প্রমথ চৌধুরীর প্রস্তাব বিশেষভাবে স্মরণীয়। ‘…নতুন বাংলা বই যদি ঘরে ঘরে ফেরি করা হয়, তাহলে বঙ্গ সাহিত্যের প্রতি লক্ষীর দৃষ্টি পড়বে’।

এদেশ মন্দির, মঠ, দেবালয়, মসজিদ এবং গীর্জায় সুসজ্জিত। প্রাচীনকাল থেকেই দেশের সর্বত্র ধর্মীয় মেলা, চড়কের মেলা, পীর সাহেব, দরগার মেলা এমনকি হাতি কেনাবেচার সঙ্গে জেনানা বিক্রির মেলাও হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। জয়দেবের মেলা, কুম্ভ মেলা, সর্বজনবিদিত। এইসব মেলা আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতির ধারক বাহক হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে।

এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে এইসব মেলার তুলনায় ‘বইমেলা’ বেশ নবীন। এদেশে শিক্ষা প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানপিপাসু সাহিত্য সংস্কৃতি মানুষের চেতনা বৃদ্ধির ফলে পুস্তক প্রেমীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার সঙ্গে পাঠকের মেলবন্ধনে গ্রন্থাগার একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে এসেছে। তবে চাহিদার তুলনায় গ্রন্থাগারে পুস্তকের জোগান তেমনভাবে সমতা বজায় থাকেনি। এর অন্যতম কারণ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, সমকালীন পুস্তক দ্রুত পাঠকের কাছে আসতে বিলম্ব।

পশ্চিমবঙ্গে কবে কখন কোথায় প্রথম পুস্তকমেলা বা গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয় এর প্রামাণ্য নথী তেমনভাবে আলোক প্রাপ্ত হয়নি বা জনমানসে বহুল চর্চিত হয়নি। অনেকের মনে এ সংশয় আছে। এই কারণেই প্রথম বই মেলার সময় স্থান-কালের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ইতিহাসের স্বার্থে বা সাংস্কৃতিক কারণে গবেষকদেরও জবাবদিহি করা আবশ্যকীয়তা রয়েছে। উল্লেখ যে, কলকাতা বইমেলা প্রথম শুরু হয় ১৯৭৬ সালে ময়দানে, বর্তমানে মিলন মেলায়। এই মেলা ১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে এবং এই মেলা আলোকিত করে রেখেছেন প্রখ্যাত শিল্পী, লেখক, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার থেকে নবীন লেখক-লেখিকা এমনকি চিত্রশিল্পী পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, কলকাতার চাকচিক্য উজ্জ্বলতার পাশাপাশি চাপা পড়ে রয়েছে এ দেশের প্রথম বই মেলার ইতিকথা। প্রথম বইমেলার স্থান-কাল-পাত্র নিয়ে মাথা ঘামানোর কেউ নেই। এ ব্যাপারে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে কলকাতা বইমেলার ১২ বছর আগে ১৯৬৩ সালে জঙ্গিপুরে (মুর্শিদাবাদ জেলা) পশ্চিমবঙ্গ প্রথম গ্রন্থমেলা বা বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৬০ বছর পার হয়ে এসেও ‘জঙ্গিপুরের বইমেলা’ গবেষক, পণ্ডিত, ইতিহাসবিদদের কাছ দুয়োরানী হয়ে গেছে। জঙ্গিপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম বইমেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রমাণ দেওয়া হল অনুরাগী কৌতূহলী ইতিহাসবিদ, পাঠক ও গবেষকদের জন্য।

মুর্শিদাবাদ জেলার পথে প্রান্তরে রয়েছে অসংখ্য মন্দির, মসজিদ, দেবালয়, আখড়া, চণ্ডীমণ্ডপ। লোকনাট্য আলকাপ, কবিগান, মুসলিম বিয়ের গান, মনসামঙ্গলের চর্চা আবহমান কাল থেকে মনোরঞ্জনের পাশাপাশি লোকশিক্ষা দিয়ে আসছে। আমজনতা চেতনার আলোয় উজ্জীবিত হয়েছেন এবং এখনও হয়ে আসছেন। এখানে জন্মেছেন গুনীমানুষ যাঁরা বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি, প্রচারের আলোয় নতুন মাত্রা এনে দিয়েছেন। প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন দাদাঠাকুর (শরৎচন্দ্র পণ্ডিত), ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার, নলিনীকান্ত সরকার, ইয়াকুব যন্ত্রী, নিমতিতার জমিদার মহেন্দ্রনাথ চৌধুরী, বিপ্লবী নলিনী বাগচী, বিপ্লবী দূর্গা শংকর শুকুল, চিত্রশিল্পী ক্ষিতিন্দ্র নাথ মজুমদার, কবিগান খ্যাত গুমানী দেওয়ান, বৈষ্ণব কবি বিষ্ণু সরস্বতী, চিত্র পরিচালক তপন সিংহ প্রমুখ। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য বাংলার নাট্য জগতের প্রায় সকল বিখ্যাত নট-নটী নিমতিতার রঙ্গমঞ্চে প্রেট্রোম্যাক্সের আলোয় অভিনয় করে গেছেন ইতিহাসে এ কথার উল্লেখ রয়েছে। প্রখ্যাত নট ছবি বিশ্বাস, অভিনেতা শিশির ভাদুড়ী সহ অনেকে।

লুপ্তপ্রায় ইতিহাসের কথা, দলিল হিসেবে তুলে ধরার জন্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অতীতের উজ্জ্বল স্মৃতি, রক্ষা করার তাগিদে ‘গ্রন্থমেলার’ আবশ্যিকতা। মুদ্রিত ‘স্মারকগ্রন্থের’ প্রাসঙ্গিকতা। বইমেলার আকর্ষণ হবে বই। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং জ্ঞান অর্জন। এই দু’য়ের সঙ্গে স্মারকগ্রন্থে এলাকার মন্দির মসজিদ দেবালয়ের ইতিহাস তুলে ধরা ছিল ‘জঙ্গিপুরের গ্রন্থ মেলার’ উদ্দেশ্য। ৭ দিন ব্যাপী মেলার বিভিন্ন দিনে স্মরণীয় গুণী শিল্পীদের সঙ্গীত, নাটক, কবিগান, আলকাপ, মনসামঙ্গল গান পরিবেশন এবং গুণী মানুষদের স্বীকৃতি প্রদানও ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য।

১৯৬৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বইমেলার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন জঙ্গিপুরের তৎকালীন মহকুমা শাসক মাননীয় অমল কৃষ্ণ গুপ্ত মহাশয়। শুধুমাত্র প্রশাসক নয় আদ্যন্ত সংস্কৃতি প্রেমী ব্যক্তিত্ব ঐ বছরের এপ্রিল মাসে এই বইমেলার আয়োজন করেন স্থানীয় সংস্কৃতি প্রেমী মানুষদের উদ্যোগে। বইমেলার গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, রম্যরচনা, নাটক, ধর্মগ্রন্থের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং, চাষবাস ইত্যাদি প্রদর্শিত এবং বিক্রি হয়েছিল। সাতদিন ধরে বিভিন্ন দিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলার প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বগণ। যথা-বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, নারায়ণ চৌধুরী, বিধায়ক ভট্টাচার্য্য, কানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রেজাউল করিম, বিজয়লাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিত্বগণ। মঞ্চে পরিবেশিত হয় কবিগানের প্রখ্যাত কবিয়াল গুমানী দেওয়ানের কবিগান ও লোকনাট্য আলকাপের কিংবদন্তী ঝাঁকণ্ড (ধনঞ্জয় মণ্ডলের) আলকাপ ইত্যাদি। বিদেশের বহু দূতাবাস থেকে বই আনা হয় বিক্রির জন্য বইমেলায় পাঠকদের সুবিধার্থে।

 

 

এই স্মারকগ্রন্থে প্রকাশিত জঙ্গিপুর মহকুমার পুরাকীর্তি প্রাচীন মঠ, মসজিদ, দেবালয়, প্রত্নতাত্বিক সম্ভারের বিবরণ। গুণীজনদের সচিত্র দলিলই শুধু নয় এলাকার প্রাচীন মন্দির, মসজিদ, দেবালয়ের দুর্লভ আলোকচিত্র। এই মহান কর্মযজ্ঞের নেপথ্যে প্রেরণা দিয়েছিলেন সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, হুমায়ুন কবির, রমেশ চন্দ্র মজুমদার, নির্মল কুমার বসু, নীহার রঞ্জন রায়ের মত বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্রেরা। স্মারক গ্রন্থের সম্পাদক ছিলেন নাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায় (জঙ্গিপুর কলেজের তদানীন্তন অধ্যাপক) ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব বরুণ রায়। সহযোগী ছিলেন অধ্যাপক আশিস রায়, শিক্ষক হরিলাল দাস, শ্রী অরুণ রায়, মৃগাঙ্ক শেখর চক্রবর্তী ও জঙ্গিপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিশ্বপতি চট্টোপাধ্যায় যিনি স্মারক গ্রন্থের প্রকাশক ছিলেন সেই সঙ্গে এলাকার বুদ্ধিজীবি গুণী মানুষেরা সহযোগিতা করেন। স্মারকগ্রন্থ যাদের লেখায় সমৃদ্ধ ছিল তাঁদের মধ্যে শিল্পী চিন্তামণি কর, নলিনীকান্ত সরকার, জগদানন্দ বাজপেয়ী, বিধায়ক ভট্টাচার্য্য, কমল বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফুল্ল গুপ্ত, উমানাথ সিংহ সহ বিশিষ্ট লেখক প্রাবন্ধিক। এই বইমেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ সাড়া ফেলেছিল। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য করা যেতে পারে, ১৯৬৩ সালের প্রথম বইমেলার স্মারকগ্রন্থে অনুল্লেখ ছিল বহু ইতিহাস এবং তথ্য। অসমাপ্ত স্মারকগ্রন্থের পরবর্তী সংযোজন হিসেবে ১৯৭৭, ১৯৭৯ সালের জঙ্গিপুরে অনুষ্ঠিত হয় পরবর্তী বইমেলা। এই বইমলোয় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের তৎকালীন সভাপতি বনফুল, অন্নদাশঙ্কর রায়, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, শান্তিদেব ঘোষ, বিশ্বভারতীর অধ্যক্ষ সুরজিৎ সিংহ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী প্রতাপচন্দ্র, বসুমতী সম্পাদক গোপাল ভৌমিক প্রমুখ ব্যক্তিত্বদের প্রশংসাধন্য লিখিত স্মারক বইমেলার মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। বিখ্যাত স্মারক গ্রন্থটির প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন রামকিঙ্কর বেইজ। এই স্মারকগ্রন্থের অন্যতম কনিষ্ঠ লেখক বর্তমান এই রচনার প্রতিবেদক হয়ে গর্ববোধ করছি দেশের প্রথম বইমেলার বিবরণ দিতে গিয়ে। দেশের আপামর গবেষক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি কবে পাবে জঙ্গিপুর বইমেলা? প্রবীন নাগরিক হিসেবে দেশবাসীর কাছে এই আবেদন।

প্রথম বইমেলার সূচিপত্রে লোকসংস্কৃতি ও পরিচিতিতে উল্লেখ আছে, জঙ্গিপুর মহকুমার আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা অনেক মন্দির, মসজিদ, দিঘী। যেমন বন্যেশ্বরের মন্দির, বাজিতপুরের সর্বেশ্বর দেবের মন্দির ও তার মেলা, রঘুনাথগঞ্জ তুলসি বিহার মেলা, হিলোড়ার মেলা, জঙ্গিপুরের রথের মেলা, নূরপুরের (রমাকান্তপুর) রক্ষাকালীর মেলা, গিরিয়ার যুদ্ধের প্রান্তর মেলা, জাগলাই মেলা, সেকেন্দ্রার কৃষ্ণকালী মেলা, হিলোড়ার মুক্তকেশী কালি মেলা, বালিঘাটার মসজিদ, সুফি সাধক কবি মুর্তাজা সমাধি বেদী, সাগরদিঘী, সেখদিঘী, রাজুয়া দিঘী, জিয়ত কুণ্ডু, ধুলির পাহাড়, ফরাক্কার মাটির নিচে প্রাচীন ইতিহাস সহ অসংখ্য মন্দির, মসজিদ, দেবালয় ও ইতিহাসের পুরাকীর্তির বিবরণ। জঙ্গিপুর মহকুমার শিল্প পরিচয় যেমন মির্জাপুরের রেশম শিল্প, গোপালপুর আলোপাশাহি পশম শিল্প, অরঙ্গাবাদের বিড়ি শিল্প, সেকেন্দ্রবাদের তাঁত শিল্প, জোতকমল গ্রামের পিতল-কাঁসার বাসন তৈরির কথা, আহিরণের মৌমাছি পালন ও গাঙ্গিন গ্রামের কাগজ তৈরির কথা।

এই গ্রন্থমেলা বা বইমেলা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের প্রথম বইমেলা। অরূপ চন্দ্র সম্পাদিত ‘মুর্শিদাবাদ ইতিবৃত্ত’ (চতুর্থ খণ্ড) অতীত ও স্বাধীনতার উত্তর মুর্শিদাবাদ গ্রন্থে ৩২৮ পাতায় মুদ্রিত আছে। 🍁

 

তথ্যসূত্র : 

১. স্মারক গ্রন্থ (১৯৬৩) জঙ্গিপুর গ্রন্থমেলা

২. ২য় বইমেলা ১৯৭৭ (জঙ্গিপুর)

৩. বরুণ রায় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রথম বইমেলা ১৯৬৩। 

 

আরও পড়ুন : Micheal Focault : মিশেল ফুকো : একটি প্লাবনের নাম

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment

Also Read