



সাশ্রয় নিউজ ★ কলকাতা : সন্দেশখালি ইস্যুতে (Sandeshkhali Incident) উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বুধবার সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের আন্দোলনে জ্ঞান হারান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবারের ঘটনায় পুলিশ বিজেপি কর্মীদের ওপর সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মামলা রুজু করা হয় বলে উল্লেখ। এবং পুলিশ গ্রেফতার করেন, বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক ও মহিলা মোর্চার নেত্রী, সিলভিয়া পারভিন বিবি সহ তথাগত ঘোষকে। পুলিশের দাবি, সিলভিয়ার আচমকা টানেই পুলিশের গাড়ির ওপর পড়ে যান সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে দু’জন পুলিশকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশ সূত্রে।
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপর স্থানীয় মহিলারা ধর্ষণ সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে আসেন। কিন্তু তার উল্টো সুর দেখা যায় রাজ্যের শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের কণ্ঠে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সন্দেশখালি ইস্যুতে বলেন, ‘জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা এলাকা ঘরে বলেছেন, ধর্ষণ বা মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও অভিযোগ পাননি। তারপারেও বিজেপি ও সিপিএম পরিকল্পিতভাবে বাংলা বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘কেউ কোথাও কোনও দিন ১৪৪ ধারা জারি করে কুকীর্তি চেপে রাখতে পারেনি, তৃণমূলও পারবে না। স্বামী ও বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে মহিলাদের নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে সন্দেশখালিতে।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিষয়ে পুলিশের দিকে আঙুল তোলেন। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ সব জানে। তৃণমূল নেতাদের বলব, আপনারা আয়নায় মুখ দেখতে পারেন? বাড়ির মা-বোনেদের কথা মনে পড়ে না?’
অন্যদিকে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একটি বড় অংশের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ যে দাবি করেছেন, সেই দাবি তাৎপর্যহীন। এবং শুধু তা-ই না, রাজ্যের শাসক দল, এই ঘটনাটিকে যেন-তেন প্রকারে ধামা চাপা দিতে চাইছেন বলেই উল্লেখ। -ফাইল চিত্র
আরও পড়ুন : BJP : শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির, পুলিশের সঙ্গে বচসা
