



পিনাকী চৌধুরী ★ কলকাতা : পকসো মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ এইসব ক্ষেত্রে কোনও অবস্থাতেই নির্যাতিতার নাম-পরিচয় সর্বসম্মক্ষে আনা যাবে না। অথচ সেই নির্দেশিকাকে রীতিমতো থোড়াই কেয়ার! একশ্রেণীর অতি উৎসাহী ‘প্রতিবাদী নেটিজেন’ অবলীলায় অবাস্তব, কাল্পনিক ও কিছু গুজব ছড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ দেশ থেকে দেশান্তরে এইসব গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন, ধর্ষিতার দেহে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গেছে। সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল সাইটে। সূত্রের খবর, এই গুজব উত্তর শহরতলীর একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে সুকৌশলে খবরে ভেসে থাকবার জন্যই এইসব করা হচ্ছে? সম্পূর্ণ কাল্পনিক, অবাস্তব, গুজব এবং ভিত্তিহীন খবর পোস্ট করবার জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে ৪১ ধারায় নোটিশ পাঠিয়েছে লালবাজার। এছাড়াও সোশ্যাল সাইটে গুজব ছড়ানোর জন্য আরও ১৬৮ জনকে নোটিশ পাঠিয়েছে লালবাজার। এছাড়াও লালবাজার তাদের এক্স হ্যান্ডেলে সতর্কবার্তা জারি করেছে। আসলে অবাস্তব কাল্পনিক সব গুজব ঠেকাতে লালবাজার এবার কঠোর হয়েছে। ওদিকে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে যে কোনও রকম জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। আজ রবিবার থেকে আগামী ২৪ আগষ্ট পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে বলে উল্লেখ।
