



কেন হারলেন থারুর? খাড়গের জয় জয়াকার
সাশ্রয় নিউজ : ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মসনদ সামলাবেন এখন থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে। জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির দৌড়ে নির্বাচনে লড়েছিলেন, কংগ্রেসের দুই নেতা, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর। চলতি মাসের ১৭ তারিখ দলটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দান করেছিলেন, ৯৩৮৫ জন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
নির্বাচনের ফলাফলের পরে জাতীয় কংগ্রেস দলটি গান্ধী পরিবার থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে এল বলে মনে করছেন দেশের একাংশের রাজনৈতিক সমালোচকরা। কেন কিছুটা? তাঁদের ব্যাখ্যা, মল্লিকার্জুন খাড়গে গান্ধী-পরিবারের কাছের মানুষ।
১৭ অক্টোবর, ২০২২ জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ভোট দাতার সংখ্যা ছিল, ৯৩৮৫। তার ভেতর গণনার সময় বাতিল ভোটের সংখ্যা ৪১৩ টি বলে জানা যায়।
৭৮৯৭ টি ভোট পেয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। অপর দিকে খাড়গের প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর ভোট পেয়েছেন, ১০৭২ টি। শশী থারুরকে বিপুল ভোটে হারিয়ে বিজয়ী বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলের চেয়ারে বসে দল চালানোর পথ সুনিশ্চিত করেছেন।
খাড়্গের আগে গান্ধী পরিবারের বাইরে প্রথম ১৯৯৮ সালে জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হন সীতারাম কেশরী। কেশরীর পরে মল্লিকার্জুন খাড়গেই দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি এখন থেকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে বসে দল পরিচালনা করবেন।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে কে কে লড়বেন, এই নিয়ে দীর্ঘদিন দলের মধ্যেই নিজেদের ভেতর চাপান-উতোর চলছিল। একসময় জানা গিয়েছিল, দ্বিগ্বিজয় সিং ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। কিন্তু দ্বিগ্বিজয় সিং বা অশোক গহলৌত শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেননি। দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেন বর্ষিয়ান জাতীয় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর। অক্টোবরের ১৭ তারিখ নির্বাচনের পরে আজকে ১৯ তারিখ নির্বাচনের ফলাফলের পরে জয়ের হাসি হাসলেন খাড়গেই।
