



কালনা পৌরসভায় আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা : কালনা, ২০ জুলাই : কালনা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষণপাড়ায় শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ একটি জেনারেটর ঘরে আগুন লাগে বলে জানা যায়। ঐ আগুন দেখে এলাকার মানুষ তড়িঘরি বালতি করে জল ছুঁড়ে দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক পর্যায় এই পরিস্থি নিয়ন্ত্রণে না এলে কালনা ফায়ার ব্রিগেডে খবর দেওয়া হয়। পরে কালনা ফায়ার ব্রিগেড থেকে ইঞ্জিন সহ ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা যায়। আগুন লাগার কারণ হিসেবে আনমিক মনে করা হচ্ছে যে, জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়ে এই আগুন। কেউ কেউ বৈদত্যিক কারণও হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সঠিক কি কারণে আগুন তা এই খবর পাওয়া সময় পর্যন্ত জানা যায়নি।
যদিও সাধারণ মানুষের অনুমান যে যেভাবেই আগুন লেগে যাকনা কেন কিন্তু ঐ ঘরে পিচ বোর্ড মজুত থাকায় আগুন দাও দাও করে জ্বলে ওঠে।
যদিও বলা যায় যে কয়দিন ধরে দাবদাহ গরমে ন্যাজেহাল সাধারণ মানুষ থেকে দোকানের ব্যবসায়ী। তাতে ঘনঘন লোডশিডিং। গরমের হাত থেকে বাঁচতে মানুষের সহযোগী কৃত্তিম বিদ্যুৎ সংযোগ এর মাধ্যম এই জেনানেটর। যারপরণায় জেনানেটর সকাল থেকেই ঐদিন চলছিল। হঠাৎই ঐ ঘরে আগুন লক্ষ্য করেন পথ চলতি স্থানীয় মানুষ।
জেনারেটর ঘরের মালিক বাপন নাগ ওরফে সন্দীপ নাগ তিনি জানান, “তার দুটি জেনারেটর, দুটিই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও কিছু আসবাস পত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” অন্যদিকে ক্ষতির পরিমান প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরেই বলে অনুমান করছেন সাধারণ মানুষও ।
তবে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে , এই আগুন কি কেউ লাগিয়ে দেয়নি তো ?
কিছু প্রশ্ন তুলে উল্টো কথা বলছেন সমাজ মাধ্যমে সনজিৎ মুখার্জী নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি। সণজিৎ বাবুর সাফ বক্তব্যে জানা যায় , “অত্যন্ত ঘন জনবহুল বসতিতে এমন বিপজ্জনক আগুন, ভাবা যায় না। প্রশ্ন উঠছে:-জেনারেটর চালানোর জন্য ফায়ার ব্রিগেড থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেওয়া হয়েছিল কি না ?
আগুন নেভানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা জেনারেটর রুমে উপলব্ধ ছিল কি না ?
জেনারেটর রুমে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জ্বলনশীল পদার্থ মজুদ ছিল কেন ?
শহরের মধ্যেই ফায়ার স্টেশন থাকা সত্ত্বেও আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি দেখা গেল না কেন ?”
এমন নানাবিধি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে মালিক পক্ষকে। যদিও এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি জেনারেটরের মালিক সন্দীপ নাগ।
উক্ত এলাকার এক অংশের দাবি যে পারমিড না থাকলে কি সে এই ব্যবসা করতে পারেন এই জনবহুল এলাকায় ! তাতে আবার পৌরসভা এলাকা বলে কথা! তবে এলাকার মানুষের মনে কৌতূহল থেকেই গেল আগুন কি ভাবে লাগলো।
