



সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: গতকাল চারশো ষাট কোটি বছর আগের ব্রহ্মাণ্ডের একটি ছবি প্রকাশ করে নাসা। তার রেশে এখনও কাটেনি, আর আজ দেখা দিল সুপারমুন। সন্ধের আকাশে, চাঁদের হাসি আজ বাঁধভাঙা। সূর্যাস্তের পরই আকাশে দেখা দিল সুপার মুন (Super Moon)। সেই চাঁদ, যাকে নিয়ে মিথ আর কল্পনা আকাশজোড়া। মধ্য রাতে পূর্ণিমার পূর্ণ বিন্দুতে পৌঁছবে সুপার মুন।
সূর্যাস্তের পরই পুব দিগন্তে চেনা আকার ছেড়ে অনেকটাই বড় সুবর্ণ গোলক। সুপার মুন সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বড়। ঔজ্জ্বল্যের ক্ষেত্রেও এগিয়ে সুপার মুন। সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় তা প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল।
Yesterday, @NASAWebb showed us the far reaches of our universe. Today, take a look at our nearest neighbor!
The July full moon is a supermoon, meaning it’s near its closest point to Earth in its orbit. It will appear about 15% brighter than averagehttps://t.co/jH7aZ2H7mk pic.twitter.com/iOJpLlh7js
— NASA Moon (@NASAMoon) July 13, 2022
কিন্তু সুপার মুনকে (Super Moon) এত বড় দেখায় কেন? পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে গড়ে ২৭ দিন ৮ ঘণ্টা। প্রদক্ষিণ করতে করতে চাঁদ এক সময় পৃথিবীর কাছে চলে আসে। আবার এক সময় দূরে সরে যায়। কারণ চাঁদের কক্ষপথ অনেকটা ডিম্বাকার। পৃথিবীর কাছে চাঁদের চলে আসাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে পেরিজি বা অনুসূর। আর দূরে চলে গেলে বলে অ্যাপোজি বা অপসূর। পেরিজি-র সময় চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব যখন সব চেয়ে কম, তখন যদি পূর্ণিমা হয়, সেই সময় চাঁদকে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়।
সুপার মুনকে নিয়ে নানা দেশে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা। এমনিতে বছরে ৩ থেকে ৪ বার দেখা যায় সুপার মুন। সুপার মুনের দিনই ঘটে প্রাকৃতি দুর্যোগ, এমন একটা কুসংস্কারের কথা শোনা যায় কান পাতলেই। আসলে, ২০১১-র ১১ মার্চ জাপানে ঘটে প্রলয়ঙ্কর ভূমিকম্প। তার ৮দিন পরেই ছিল সুপার মুন। সুপার মুন আর দুর্ঘটনার আশঙ্কাকে এক ব্র্যাকেটে এনে আলোচনা শুরু হয় সেই দিন থেকে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এমন সমাপতনের সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিচ্ছেন। গুজব আর আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে সন্ধে থেকে চোখ রাখুন পুব আকাশে।
