Sasraya News

Wednesday, March 12, 2025

Allegation Of Fraud By Alluring 6 Students Into Employment IIT Kharagpur Hospital

Listen

বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার (fraud) অভিযোগ। গত রাতে খড়্গপুর টাউন থানায় প্রতারক (fraudstar) তথা ব্ল্যাকমেলারদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক পড়ুয়া। তার পরেই চার অভিযুক্তকে এক হোটেল থেকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। 

কী ভাবে প্রতারণা?

প্রতারিত ছয় পড়ুয়ার অভিযোগ, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁদের মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের পদে নিয়োগ করা হবে বলে শুভাশিস দাস ও ভিকি হাজারি নামে দুজন  টোপ দিয়েছিল। শুভাশিস কোচবিহার এবং ভিকি আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন ওই পড়ুয়ারা। বেতনবাবদ ২৪ হাজার ৬৫০ টাকা পাবেন তাঁরা। জয়েনিং দ্রুত হবে। আশ্বাস দেন শুভাশিস-ভিকি। তবে মুফতে নয়। অন্তত লাখ চারেক টাকা করে দিকে হবে। এর মধ্যে অগ্রিম বাবদ কিছু দিলেই নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হবে, জানান দুজন। চাকরির লোভনীয় প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান ছয় যুবক। এর পরই ফাঁদে পড়ার পালা।

কী অভিযোগ?

উজ্জ্বল বর্মন,অলোকেশ বর্মন, রাজেশ্বর সরকার, কৌশিক রায়, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং মিথিংগা নার্জিনারী। এই ছজনকেই চাকরির টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রথমে উজ্জ্বলের থেকে ৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। পরে দুদফায় ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে খড়্গপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, খড়্গপুরে পৌঁছলেই নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন। আসলে সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন শুভাশিস-ভিকির আরও চার সাগরেদ, অভিযোগ প্রতারিতদের। তাঁদের নাম রবিশঙ্কর দাস,অভিজিৎ দাস,সাগর কুমার রাউত এবং তপন জ্যোতি মান্না বলে জানিয়েছেন ছয় পড়ুয়া। রবিশঙ্কররাই খড়্গপুরের একটি বেসরকারি লজে রেখেছিলেন ওই ছজনকে। অভিযোগ, আইআইটি-র নামাঙ্কিত ভুয়ো নিয়োগপত্রও তাঁদের হাতে তুলে দেন এই চার জনই। কিন্তু বকেয়া পুরো না মেটায়স মস্যা তৈরি হয় । হিসেব মতো ১২ জুলাই ওই ছজনের জয়েনিং ডেট ছিল। কিন্তু উজ্জ্বল বাদে বাকিরা তখনও সব টাকা দিয়ে উঠতে পারেননি। টাকার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে তাঁদের। রবিশঙ্করদের মতিগতি থেকে সন্দেহ দানা বাঁধে ছয় পড়ুয়ার। ভুয়ো চক্করে পড়ে গিয়েছেন আন্দাজ করে মিথিঙ্গা  নার্জিনারী খড়্গপুর সালুয়ায় থাকা তাঁর এক আত্মীয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। ওই আত্মীয়ই তখন সালুয়ার তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত রোশন লামা-কে সঙ্গে নিয়ে খড়্গপুর টাউন থানায় বিষয়টি বিস্তারিত জানান। খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ ওই হোটেলে পৌঁছে সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। তবে এখনও চক্রের মূল পান্ডাদের খোঁজে রয়েছে পুলিশ। 

আশার কথা একটাই। উদ্ধার হয়েছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু যে টাকা এর মধ্যেই হাতছাড়া হয়েছে তা ফিরবে কি?

আরও পড়ুন:অর্থ সঙ্কট থাকবে না, কেটে যাবে বিয়ের বাধাও, কী করবেন গুরু পূর্ণিমায়?

Source link

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment