



বাংলাদেশের কপতাক্ষ নদের তীর ঘেঁষা সবুজে ছাওয়া ব্যাংদহ গ্রামে জন্ম কবি প্রেমাংশু শ্রাবণ-এর। কবি ছেলেবেলায় পাখির কিচিরমিচির আর আষাঢ়ী ভরা-নদের খলবল অনুবাদ করতেন ছড়ার ছন্দে। তারপর ঋতুচক্র বসন্ত আসে, দখিণের জানালা খুলে লিখতে শুরু করেন, বনপলাশের পদাবলী। কবির কথায়, ‘একদিন পৃথিবীর সমস্ত প্রকৃতি গাছপালা নদী উজাড়ও হয় যদি সেদিন নগরের চিত্রশিল্পিরা কবিদের কবিতা পড়ে তাঁদের ছবি আঁকবেন।’ সাশ্রয় নিউজ-এর আজকের পাতায় রইল কবির গুচ্ছ কবিতা।
প্রেমাংশু শ্রাবণ-এর কবিতা
জন্মদাগ
মাঝেমধ্যে মনে হয় শতজন্মে বেঁচে আছি আমি
কী ছিলাম মনে নেই,পায়রা না খুনের আসামী।
শুধু মনে আছে তুমি পাশে এসে বসেছিলে শেষে
তারপর অন্ধকার! লোডশেডিং গোটা মহাদেশে।
এই জন্মে একা একা মরে গেলে মানুষের ভিড়ে
জন্মদাগ হয়ে ফের জন্ম নেব, তোমার শরীরে
কালবৈশাখী
উঠোনে আমের ফুল,
ক’য়েকশো দিশেহারা পাখি।
এই ছিল ছেলেবেলা।
ছোটদের কালবৈশাখী।
একদিন কারা যেন
আচমকা নাম ধরে ডেকে
বিশ্বাস তুলে দিল
যাবতীয় রূপকথা থেকে।
মানুষই ছদ্মবেশ
ঘুমহীন দৈত্য ও দানো,
আমাদের কাজ শুধু
আয়নাকে আঘাত চেনানো।
তারপর শুয়ে পড়া
বাতিল আস্ত্র হয়ে খাপে,
এভাবেই ডানাহীন-
বড় হয়ে ওঠা অভিশাপে।
শেষ কথা ফোনকলে।
দূর হতে ভেসে এল রাখি!
এই পারে নীরবতা,
বড়দের কালবৈশাখী।
ভালোবাসো যদি
যে যায় সে বহুদিন প্রস্তুতি নেয় তার আগে।
বৃথাই বাড়ানো মায়া
এতবার তাকে পিছু ডেকে।
প্রাচীন ঘুমের ঘোরে,
আধুনিক আঘাতের দাগে…
তোমাকে খুঁজেছি যত
তত খুঁজে পেয়েছি নিজেকে।
অবহেলা বয়ে নিয়ে
ছুটে চলে সময়ের নদী।
তার ঢেউ টের পাবে
কোনও দিন ভালোবাসো যদি।
পাখি
মানুষ দেখলে
পাখি উড়ে
যায়
পাখিরা জানে
মানুষ
পাখি শিকার করে।
অঙ্কন : প্রীতি দেব
লেখা পাঠান 👉 স্থানীয় সংবাদ, স্বরচিত গল্প, স্বরচিত কবিতা, স্বরচিত প্রবন্ধ, স্বরচিত ভ্রমণ, স্বরচিত উপন্যাস। e-mail id : sasrayanews@gmail.com

3 thoughts on “Poem By Premanshu Shraban : প্রেমাংশু শ্রাবণ-এর কবিতা”
Thank you for sharing such valuable insights!
Hi there to all, for the reason that I am genuinely keen of reading this website’s post to be updated on a regular basis. It carries pleasant stuff. mobil uyumlu web tasarım
The articles look great, I will take the time to visit again..