Kaushiki Amavasya : কৌশিকী অমাবস্যা

SHARE:

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ঋষি বশিষ্ঠ বামদেব রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং তারাপীঠ মহাশ্মশানে কৌশিকী অমাবস্যার দিনে শ্বেত শিমূল গাছের তলায় সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। ওই বিশেষ দিনে স্বয়ং মা তারা সাধক ব্যামাক্ষেপাকে দর্শন দিয়েছিলেন ।‌ সনাতন বিশ্বাস মতে আদ্যাশক্তির দশম মহাবিদ্যার অন্যতম রূপ হলেন মা তারা।‌ আরও বিশ্বাস করা হয়, ওই দিনে মা কৌশিকী রূপে ‌‌‌অবতীর্ণ হয়ে শম্ভু ও নিশুম্ভ নামে দুই দুরাচারী অসুরকে বধ করেছিলেন। তাই স্থানমাহাত্ম্যে আজও তারাপীঠ বিশেষ বার্তা বহন করে।‌ লিখেছেন : পিনাকী চৌধুরী

 

তারাপিঠে এখন সাজো সাজো রব।‌ ভাদ্র মাসের অমাবস্যা কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) নামে বিশেষ বার্তা বহন করে। এবার ২ সেপ্টেম্বর, সোমবার ভোর ৫.৫ মিনিটে অমাবস্যা শুরু হচ্ছে।‌‌‌‌‌

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী ঋষি বশিষ্ঠ বামদেব রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং তারাপীঠ মহাশ্মশানে কৌশিকী অমাবস্যার দিনে শ্বেত শিমূল গাছের তলায় সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। ওই বিশেষ দিনে স্বয়ং মা তারা সাধক ব্যামাক্ষেপাকে দর্শন দিয়েছিলেন ।‌ সনাতন বিশ্বাস মতে আদ্যাশক্তির দশম মহাবিদ্যার অন্যতম রূপ হলেন মা তারা।‌ আরও বিশ্বাস করা হয়, ওই দিনে মা কৌশিকী রূপে ‌‌‌অবতীর্ণ হয়ে শম্ভু ও নিশুম্ভ নামে দুই দুরাচারী অসুরকে বধ করেছিলেন। তাই স্থানমাহাত্ম্যে আজও তারাপীঠ বিশেষ বার্তা বহন করে।‌

ওইদিন তারাপীঠে মা তারার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে ‌‌‌‌অ সংখ্য ভক্ত ওইদিন তারাপীঠে আসেন এবং মা তারার বিশেষ পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। যেহেতু আর পাঁচটা অমাবস্যার থেকে আলাদা এই কৌশিকী অমাবস্যা, তাই অনেকেই ‌উপবাস করেন এবং পুজোর সময় মা তারার শ্রীচরণে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌রক্তজবা এবং লাল সিঁদুর অর্পণ করেন। অনেক গৃহস্থ বাড়িতে প্রধান ফটকের দু’পাশে দু’টি তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। অনেকেই গঙ্গা বা পবিত্র জলাশয়ে স্নান করে পিতৃ তর্পণ করেন এবং দীনদরিদ্রদের সাধ্যমতো দান করেন। মনে করা হয় এতে পিতৃ দোষ দূর হয়।

 

ছবি : সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Art & Culture : শিল্প প্রদর্শনী, সৌহার্দ্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উদযাপন

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment

আরো পড়ুন