



বাংলা আকাদেমি পুরস্কার
রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ ★ আগরতলা : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম ত্রিপুরায় আগমন দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা আকাদেমি আগরতলা। গত ২৭ মার্চ বিকাল ৪ টায় নজরুল কলাক্ষেত্র চত্বরে নেকোল সভাগৃহে, নেকোল সাহিত্য আকাদেমির সহযোগিতায় বাংলা একাডেমি আগরতলা কর্তৃক এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা আকাদেমি আগরতলার সম্পাদক ড. রবীন্দ্র কুমার দত্ত। তিনি বক্তব্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলা আকাদেমির জন্মলগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।
রবীন্দ্রনাথের ত্রিপুরা আগমনের প্রথম দিবসটি উদযাপনের আয়োজন যে বাংলা আকাদেমি আগরতলার মাধ্যমে প্রথম শুরু হয়েছিল তাও তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত ‘মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য সাহিত্য পুরস্কার – ২০২৫’ গ্রহণ করেন ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য এবং ‘অনঙ্গ মোহিনী দেবী সাহিত্য পুরস্কার – ২০২৫’ গ্রহণ করেন ড. নির্মল দাশ। মূলত লোকসংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যই তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে সঞ্জীব দেব (সম্পাদক নর্থ ইস্ট কালার্স), ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও লোকসংস্কৃতিবিদ), ড. নির্মল দাশ (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, লোকসংস্কৃতিবিদ ও ডিরেক্টর নেকোল) এবং আগরতলা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. গীতা দেবনাথ। অনুষ্ঠানে মোট ৩৩ জন কবি কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানের সামগ্রিক বিবরণীটি প্রস্তুত করেন বাংলা আকাদেমির সদস্য সজল সেন এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি করেন আকাদেমির সহ-সভাপতি অধ্যাপক যোগেশ চন্দ্র দেবনাথ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে বাংলা আকাদেমি আগরতলা সভাপতি ড. ভাস্কর রায় বর্মণ ও তার মতামত ব্যক্ত করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সঞ্চালনায় করেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় দেব।
