



সিফিলিসের লক্ষণ ও চিকিৎসা
অনেকেই সিফিলিস অসুখটি সম্পর্কে অজ্ঞাত। সাধারণ ফাঙ্গাস ভেবে গোড়ার দিকে চিকিৎসকদের কাছে যেতে চান না। এর ফলে রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়ে যায় ও চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

সিফিলিস কী?
চিকিৎসকদের মতে সিফিলিস একটি যৌনপথ বাহিত একটি অসুখ। সঙ্গীর এই অসুখটি থাকলে অন্য সঙ্গীর শরীরে অসুখটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াল অসুখ। অনেকদিন ঘুমন্ত অবস্থায় শরীরে বাসা বেঁধে থেকে পরবর্তীতে জেগে উঠতে পারে। অসুরক্ষিত যৌনযাপনের ফলে ও একাধিক যৌনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের ফলে অসুখটির প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়।
উপসর্গ?
তিনটি স্টেজ আছে। প্রাথমিকভাবে সক্রমণের তিন মাস পর্যন্ত স্থানী হতে পারে। আক্রান্ত স্থানে যন্ত্রণাহীন ক্ষত, দানাভাব দেখা দেয়। এবং নিজে থেকেই ক’য়েক সপ্তাহের ভেতরেই সেরে যায়। দ্বিতীয় স্টেজ, শরীরের বিভিন্ন স্থানে – যেমন যৌনাঙ্গে, হাতে, পায়ে ও শরীরের যে-কোনও স্থানে ফুসকুড়ি দেখা যায়। ৬ মাস পর্যন্ত এই স্টেজটি থাকে। জ্বর ও মাথা ব্যথার পাশাপাশি যৌনাঙ্গ স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি ঘটে। তৃতীয় স্টেজে পক্ষাঘাত, অন্ধত্ব, এবং হার্টের সমস্যা দেখা দেখা যেতে পারে।

কীভাবে এই রোগ হয়?
অসুরক্ষিত যৌনযাপনের ফলে সিফিলিস সবচেয়ে বেশি হয়। সিফিলিসের ব্যাকটেরিয়া হল, ট্রেপোনেমা প্যালিডাম। এই অসুখে আক্রান্ত মায়ের থেকে শিশুর শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়া আক্রান্তের ফুসকুড়ি বা ক্ষতস্থানের সংস্পর্শেও একজনের থেকে অন্যের শরীরে ট্রেপোনেমা প্যালিডাম ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে।

রোগ সনাক্তকরণ
প্রাথমিক স্তরে চিকিৎসকের সন্দেহ হলে তাঁর যৌনজীবনের ইতিহাস জানবেন। যৌনাঙ্গের ত্বক পর্যবেক্ষণ করবেন। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কিছু রক্ত পরীক্ষা করাতে পারেন চিকিৎসক। ব্যাকটেরিয়ার কতটা উপস্থিতি, এবং তা ব্রেনে প্রভাব ফেলছে কি না তাও দেখা হয়। সিফিলিস নির্ণয় হলে রোগীর যৌনসঙ্গীকেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়।
চিকিৎসা?
রোগীকে চিকিৎসা চলাকালীন যৌন সংস্পর্শ বা শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিক দিকে Antibiotic দেওয়া হয়। ওরাল ও কখনও ইনজেকশনের মাধ্যমে Antibiotic শরীরে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তৃতীয় স্টেজে, প্রচুর ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হয়। কারণ রোগীর ওই পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা সম্ভব হয় না।
