Sasraya News

Friday, March 28, 2025

Women’s Day | নারী দিবস : গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা

Listen

জার্মানির ক্লারা জেটকিন (জার্মানির কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) -এর নেতৃত্বে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দে। ১৭টি দেশ থেকে ১০০জন নারী প্রতিনিধি ওই সম্মেলনে যোগ দেন। এই সম্মেলনে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস (Women’s Day) হিসাবে পালন করার প্রস্তাব রাখেন। লিখেছেন : অভিজিৎ দত্ত

 

ছবি : সংগৃহীত

 

ম্প্রতি (৮ই মার্চ) আমরা আন্তর্জাতিক নারী দিবস পেরিয়ে এলাম। সমগ্র পৃথিবীতে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা পৃথিবীর অর্ধেক আকাশ যদি পুরুষ হয় তাহলে অর্ধেক আকাশ নারী। কবি বলেছেন, ‘পৃথিবীর যত কিছু কল্যাণকর / তার অর্ধেক করেছে নারী, অর্ধেক করেছে নর।’ নারীর এত গুরুত্ব সত্বেও নারীরা কি সত্যিই সেরকম গুরুত্ব পায়?

 

ছবি : সংগৃহীত

 

আজও পৃথিবীতে যেভাবে নারী নির্যাতন হচ্ছে, নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, কুমারী মেয়েকে যৌন-দাসী হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে কি মনে হয় নারী তার প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে? নারীরা যে পুরুষদের তুলনায় কোনও অংশে কম নয় এবং সমান সুযোগ ও সুবিধা পেলে তারাও যে পুরুষদের সমান কাজ করতে পারে তার প্রমাণ তারা দিয়েছেন।

 

ছবি : সংগৃহীত

 

৮ মার্চ নারী দিবস পালনের ইতিহাস আছে। ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কাজের সময় নির্দিষ্ট করা, কাজের জায়গাই অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের সুতা কারখানার প্রায় ১৫০০০ (পরেরো হাজার) নারী শ্রমিক প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছিলেন। এরপরে জার্মানির ক্লারা জেটকিন (জার্মানির কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) -এর নেতৃত্বে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দে। ১৭টি দেশ থেকে ১০০জন নারী প্রতিনিধি ওই সম্মেলনে যোগ দেন। এই সম্মেলনে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে পালন করার প্রস্তাব রাখেন। এরপর থেকেই উক্ত দিনটিকে বিভিন্ন দেশ ‘নারী দিবস’ হিসেবে পালন করতে থাকে। তবে ১৯৭৫ খ্রীষ্টাব্দে রাষ্ট্রপুঞ্জ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তারপর থেকেই এই দিনকে বিশ্বের সর্বত্র বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে ‘নারী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।

 

ছবি : সংগৃহীত

 

লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে নারীদের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও তাদের সম্মান দেওয়া এই দিনটির পালনের মূল উদ্দেশ্য। কিন্ত, বাস্তবে নারীরা যেভাবে অবহেলিত হন, তাদেরকে যেভাবে বঞ্চনার শিকার হতে হয়— তা দেখেই কবিগুরু বলেছেন : ‘নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার/কেহ নাহি দিবে অধিকার।’ কাজেই নারী দিবস পালন করার সঙ্গে সঙ্গে যদি নারীরা প্রকৃত সম্মান বা মর্যাদা না পান তাহলে নারী দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে! কাজেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে, পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন যেমন ঘটাতে হবে তেমনি নারীদেরকেও নিজেদের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নারীদের উন্নতি ব্যতিরেকে সমাজের উন্নতি কখনওই সম্ভব নয়।এই সত্যটা বুঝতে পারলেই ৮ই মার্চ নারী দিবস পালন সার্থক হবে।

ছবি : প্রতীকী। সংগৃহীত 

আরও পড়ুন : Sasraya News, Sunday’s Literature Special 55| Issue 55| 9 March 2025 | সাশ্রয় নিউজ রবিবারের সাহিত্য স্পেশাল | বসন্ত সংখ্যা, ৯ মার্চ ২০২৫ | সংখ্যা ৫৫

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment