সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ব্যক্তিগত দর্শনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্যের এক বিশেষ রূপবদলের সময় আগামী ‘২৬ যা এক নতুন যুগের সূচনা ঘটতে চলেছে। কে হবে এই রাজ্যের মুখ্য মুখ। জনগণ কি চাইছে সমস্ত কিছু নিয়ে রাজনৈতিক কলমে কলম ধরলেন–
দেবব্রত সরকার
(আজ ষোল-তম কিস্তি)

বিধান-রণ: তৃণমূল বনাম বিজেপি ২০২৬-এর পথে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্র
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এখন শুধু মাঠের র্যালি-ই নয়; এটি ডিজিটাল ও সংগঠনিক যুদ্ধেও পরিণত হয়েছে। ২০২১-এর বিশাল পালাবদল থেকে এগোতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress -TMC) ও ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party- BJP) দুই শিবিরই ২০২৬-এর ভোটকে কেন্দ্র করে নতুন কৌশল সাজাচ্ছে- মাঠে বুথ-স্তর শক্তি পুনর্গঠন, অনলাইন-মোবিলাইজেশন এবং পরিচিতি-ভিত্তিক বার্তা। তৃণমূলের ডিজিটাল যোদ্ধা নিয়োগ ও পার্টি-রিশেফটের খবর ইতোমধ্যে ruido তৈরি করেছে।
তৃণমূল: প্রতিরক্ষা, পুনর্গঠন ও ‘স্থানীয়ত্ব’
তৃণমূল এখন মাটির ওপর আবারও একজোট হওয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে- ব্লক-স্তরে অফিসার বদলি, সংখ্যালঘু সেল-রিফ্রেশ এবং যুবশক্তিকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার প্রচেষ্টা দেখায় দলটি শক্তভাবে জনসংযোগ চালাতে চায়। দলের তরুণ নেতৃত্ব ‘Ami Banglar Digital Joddha’ ধরনের অভিযানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণাত্মক কনটেন্ট দিয়ে এসে রাজ্যের ‘বহিরাগত আক্রমণ’ থিমকে মোকাবিলা করছে। এর মাধ্যমে তৃণমূল সুনির্দিষ্টভাবে যুব ও অনলাইন ভোটারের মন-জয় করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূলের সামনে চ্যালেঞ্জও কম নয়: ভেতরের ফ্র্যাকচার, নগর প্রশাসনে হারানোর শঙ্কা এবং কেন্দ্র-রাজ্য রাজনীতির চাপ। এসব মোকাবিলায় দল র্যাপিড রেসপন্স টিম ও লোকাল মিটিং বাড়াচ্ছে। লক্ষ্য স্পষ্ট: গ্রাম ও শহরের মাঝামাঝি অঞ্চলে ‘নস্টালজিক/লোকাল’ ইস্যু জাগিয়ে রাখতে হবে।
বিজেপি: কৌশলগত পুনরাগমন ও নতুন বার্তা
বিজেপি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে- রাজ্য ইউনিটে নতুন নেতৃত্ব এনে (state unit rejig) শহর-কেন্দ্রিক পদক্ষেপে জোর দেওয়া হচ্ছে। দলের লক্ষ্য এখন ধর্মীয় মেরুকরণকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া নয়, বরং উন্নয়ন-ভিত্তিক আর্জি ও সাংস্কৃতিক বার্তা দিয়ে শহর ও ছোট ছোট মফসসল শহর অঞ্চলে জোরদার আসন অর্জন করা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও রাজ্যে বিশাল প্রচার টিম পাঠাতে পারে বলে রাজনৈতিক সূত্র বলছে।তবে বিজেপি-র এই আক্রমণাত্মক কৌশলেও সংকট: আঞ্চলিক ইস্যু, ভাষা ও পরিচয়ের রাজনীতির সঙ্গে দলের বার্তা কখনোই তৃণমূলের ‘লোকালি’ রেজোন্যান্সকে সম্পূর্ণ ছাপিয়ে যেতে পারবে না-পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া যায় না। তাছাড়া সীমানা বরাবর CAA/NRC-সংক্রান্ত প্রশ্ন রাজ্যের বিশেষ অংশে প্রচারণার চালিকাশক্তি হলেও সেটি ব্রড-এন্ডে সর্বত্র কার্যকর কৌশল হবে কি না তা সন্দেহ থেকেই যায়। সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগ যেমন CAA-ক্যাম্প আয়োজনের খবর রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে।
ভোটব্যাঙ্ক এবং মোকাবিলা-রেখা
শহর ও উপনগরীতে বিজেপি কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে; গ্রামে তৃণমূল এখনও দৃঢ়। এটাই সাম্প্রতিক নির্বাচন ও বায়পোল ফল থেকে দেখা ধারণা। তবে মিশ্র জনসংখ্যার নির্বাচনী জেলাগুলো – হুগলি, উত্তরের ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং সীমান্ত জেলাগুলোই ২০২৬-এ সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দিতে পারে। এখানে স্থানীয় নেতা, খাদ্য-বাজার দমন, চাকরি ও আইনশৃঙ্খলা- সব ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাস্তাঘাটে নয়, স্ক্রিনে লড়াই – মিডিয়া কৌশল
এবার বার্ডেন ডাবল: মাঠ এবং স্ক্রিন। তৃণমূল ডিজিটাল-খেত্রে তরুণরা নিয়োগ করছে; বিজেপি অফলাইনে শক্তি ও কেন্দ্রীয় নেতা-সফর বাড়াচ্ছে। খবর পৌঁছে দিতেই এখন ‘বুথ-লেভেল ভিডিও’, শর্ট-ফর্ম ক্লিপ, এবং ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগই মূল অস্ত্র। SIR/বুথ-ম্যাপিংয়ের মতো প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি চলছে, যা ভোটার তালিকা ও মাঠ-স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করছে।
২০২৬-এর আগে কী দেখতে হবে?
১) তৃণমূল কতটা স্থানীয় কার্যক্রমে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে; ২) বিজেপি-র সাংগঠনিক পরিবর্তন ও শহর-ক্যাম্পেন কতটা সাড়া পায়; ৩) CAA/NRC-ধাঁচের উদ্যোগ কতটা সীমানা-আঞ্চলিক প্রভাব ফেলবে; ৪) স্বাধীন ও আঞ্চলিক প্রার্থীরা মোট ভোটে কতটুকু ভাগ পাবে, এখানেই ফল নির্ধারিত হবে। এসবের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া-ফ্লোরও এখন ভোট-ফলকে প্রভাবিত করবে।

২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়সূচী ও বিশেষ ঘটনাপ্রবাহ
২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় ৮ দফায়, যা শুরু হয় ২৭ মার্চ এবং শেষ হয় ২৯ এপ্রিল। এরপর ২ মে ভোটগণনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কয়েকটি বিশেষ ঘটনাও ঘটে।
- জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৮ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ চলাকালীন বিঘ্ন ঘটায় চতুর্থ দফায় পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
- অন্যদিকে, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ওই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
- প্রাথমিকভাবে ওই দুই কেন্দ্রে ১৩ মে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত হয়েছিল, কিন্তু ওই তারিখে ঈদ পড়ায় নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ১৬ মে করে।
- পরবর্তীকালে, করোনা পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করায় ওই দুই কেন্দ্রে ভোট আবারও স্থগিত থাকে এবং সর্বশেষে ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দিন হিসেবে স্থির করা হয় :
| নির্বাচনী অনুষ্ঠান | অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলও পর্যায় | ||||||||
| প্রথম | দ্বিতীয় | তৃতীয় | চতুর্থ | পঞ্চম | ষষ্ঠ | সপ্তম | অষ্টম | — | |
| বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মানচিত্র ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের পর্যায়ক্রম | |||||||||
| বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা | ৩০ | ৩০ | ৩১ | ৪৪ | ৩৫ | ৪৩ | ৩৪ | ৩৫ | ২ |
| বিজ্ঞপ্তি ইস্যুর তারিখ | ২ মার্চ ২০২১ | ৫ মার্চ ২০২১ | ১২ মার্চ ২০২১ | ১৬ মার্চ ২০২১ | ২৩ মার্চ ২০২১ | ২৬ মার্চ ২০২১ | ৩১ মার্চ ২০২১ | ৩১ মার্চ ২০২১ | — |
| মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ | ৯ মার্চ ২০২১ | ১২ মার্চ ২০২১ | ১৯ মার্চ ২০২১ | ২৩ মার্চ ২০২১ | ৩০ মার্চ ২০২১ | ৩ এপ্রিল ২০২১ | ৭ এপ্রিল ২০২১ | ৭ এপ্রিল ২০২১ | ২৬ এপ্রিল ২০২১[ক] |
| মনোনয়ন পরীক্ষা | ১০ মার্চ ২০২১ | ১৫ মার্চ ২০২১ | ২০ মার্চ ২০২১ | ২৫ মার্চ ২০২১ | ৩১ মার্চ ২০২১ | ৫ এপ্রিল ২০২১ | ৮ এপ্রিল ২০২১ | ৮ এপ্রিল ২০২১ | ২৭ এপ্রিল ২০২১[ক] |
| মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ | ১২ মার্চ ২০২১ | ১৭ মার্চ ২০২১ | ২২ মার্চ ২০২১ | ২৬ মার্চ ২০২১ | ৩ এপ্রিল ২০২১ | ৭ এপ্রিল ২০২১ | ১২ এপ্রিল ২০২১ | ১২ এপ্রিল ২০২১ | ২৯ এপ্রিল ২০২১[ক] |
| নির্বাচনের তারিখ | ২৭ মার্চ ২০২১ | ১ এপ্রিল ২০২১ | ৬ এপ্রিল ২০২১ | ১০ এপ্রিল ২০২১ | ১৭ এপ্রিল ২০২১ | ২২ এপ্রিল ২০২১ | ২৬ এপ্রিল ২০২১ | ২৯ এপ্রিল ২০২১ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১[৭][৪৯] |
| ভোটগণনার তারিখ | ২ মে ২০২১ | ৩ অক্টোবর ২০২১[৬][৭] | |||||||
| সূত্র: ভারতের নির্বাচন কমিশন | |||||||||

জোট
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ও সহযোগী দলসমূহ
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) দু’টি গোষ্ঠীই তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানায়। তৃণমূল কংগ্রেস দার্জিলিং জেলার তিনটি আসনই জিজেএম-কে ছেড়ে দেয়। অবশ্য জিজেএম-এর দুই গোষ্ঠীই অর্থাৎ ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (বিমল)’ ও ‘গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (তামাং)’ তিনটি আসনের প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা প্রার্থী ঘোষণা করে। শিবসেনাও এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করে। জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিল ঘোষিত হলে দলটি নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন জানায়।
| রাজনৈতিক দল | প্রতীক | নেতা/নেত্রী | প্রার্থীসংখ্যা | ||
| সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস | তৃণমূল | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | ২৯০ | ||
| গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা | জিজেএম | অস্বীকৃত | বিমল গুরুং | ৩ | |
| বিনয় তামাং | |||||
| নির্দল | প্রযোজ্য নয় | ১ | |||
এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্লোগান ছিল ‘জয় হিন্দ; জয় বাংলা’, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ও ‘খেলা হবে’। তৃতীয় শ্লোগানটি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য রচিত একই শিরোনামের একটি গান থেকে গৃহীত হয়। ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ শ্লোগানটিকে দলের নির্বাচনী শ্লোগান ঘোষণা করে।
সংযুক্ত মোর্চার আসন সমঝোতা ও প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ক্রমবিবরণ
২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (Indian National Congress) নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা আসন-সমঝোতা আলোচনায় অবশেষে ১৯৩টি আসনের বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বাকি ১০১টি আসনের ভাগাভাগি পরবর্তী আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়। সেই সময় নির্ধারিত ১৯৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৯২টি এবং বামফ্রন্ট ১০১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে উভয় পক্ষ যে ৭৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল, সেই আসনগুলির বণ্টন নিয়েও দুই শিবিরের মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছিল।

এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক বিশাল সমাবেশে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front বা ISF) ঘোষণা করে যে, তারা একত্রে ‘সংযুক্ত মোর্চা (Sanyukta Morcha)’ নামে একটি জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রথমদিকে আইএসএফ দাবি করেছিল যে, তারা বামফ্রন্টের ভাগ থেকে ৩০টি আসন পেয়েছে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত সমঝোতার ভিত্তিতে ঘোষণা করা হয় : বামফ্রন্ট ১৬৫টি, কংগ্রেস ৯২টি, এবং আইএসএফ ৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
এরপর ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ শুরু হয়
- ৫ মার্চ, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu) প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন, যেখানে কংগ্রেস ও আইএসএফকে ছেড়ে দেওয়া আসনগুলির উল্লেখ ছিল।
- ৬ মার্চ, কংগ্রেস প্রথম দুই দফার জন্য ১৩ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করে।
- ১০ মার্চ, বামফ্রন্ট দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে, যাতে বেশ কয়েকজন নতুন ও তরুণ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, এদের মধ্যে ছিলেন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশন (AISF), অল ইন্ডিয়া ইউথ ফেডারেশন (AIYF), স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI) ও ডেমোক্র্যাটিক ইউথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (DYFI) –এর সদস্যরা। পাশাপাশি, প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদসহ অভিজ্ঞ নেতাদেরও প্রার্থী করা হয়।
সেদিনই বিমান বসু ঘোষণা করেন যে, বহুল আলোচিত নন্দীগ্রাম (Nandigram) বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআই(এম) -এর প্রার্থী হবেন ডিওয়াইএফআই (DYFI)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)।
পরবর্তী ধাপে,
- ১৪ মার্চ, কংগ্রেস ৩৪ জন প্রার্থীর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে,
- একই দিনে আইএসএফ তাদের প্রথম ২০ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করে।
- ১৭ মার্চ, সংযুক্ত মোর্চা আরও ১৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে- যার মধ্যে ৯ জন বামফ্রন্ট, ২ জন কংগ্রেস, এবং ৪ জন আইএসএফ-সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন।
- ২০ মার্চ, কংগ্রেস তাদের ৩৯ জন প্রার্থীর তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করে এবং ২২ মার্চ আরও দু’টি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে চূড়ান্ত তালিকা সম্পূর্ণ করে।
| রাজনৈতিক দল | প্রতীক | নেতৃত্ব | ব্লক | প্রার্থীসংখ্যা[৭৩] | ||
| ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) | সিপিআই(এম) | সূর্যকান্ত মিশ্র[৭৪] | বামফ্রন্ট | ১৩৮ | ||
| সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক | ফব | দেবব্রত বিশ্বাস | ২১ | |||
| বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল | আরএসপি | বিশ্বনাথ চৌধুরী | ১১ | |||
| ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি | সিপিআই | স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় | ১০ | |||
| মার্ক্সবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক | এমএফবি | সমর হাজরা | ১ | |||
| ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস | কংগ্রেস | অধীর রঞ্জন চৌধুরী | – | ৯২ | ||
| ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট[খ] | আরএসএমপি[৭৭] | আব্বাস সিদ্দিকী | – | ৩২ | ||




