



বসুধা চৌধুরী : বৈজয়ন্তীমালা (Vyjayanthimala) ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৩ আগস্ট তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের ত্রিপলিকেনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন মন্দিয়াম ধাতি রামন এবং মাতা বাসুন্ধরা দেবী। তার মা ১৯৪০-এর দশকে তামিল চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন।

বৈজয়ন্তীমালা ছোটবেলায়ই ভারতীয় ক্লাসিক্যাল নৃত্য শিখতে শুরু করেন এবং মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার ‘আরঙ্গেত্রাম’ (প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৃত্য পরিবেশনা) সম্পন্ন করেন।

বৈজয়ন্তীমালা ১৯৫০-এর দশকে বলিউডে পা রাখেন এবং দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলির মধ্যে রয়েছে— দেবদাস (১৯৫৫) Devdas : দিলীপ কুমারের বিপরীতে তার প্রথম নাটকীয় চরিত্র। মধুমতী (Madhumati) : বিমল রায়ের পরিচালনায় একটি কাল্পনিক রোমান্টিক চলচ্চিত্র। গঙ্গা যমুনা (Gunga Jamuna) দিলীপ কুমারের সঙ্গে তার আরেকটি সফল চলচ্চিত্র। সঙ্গম (Sangam) রাজ কাপুরের পরিচালনায় একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক চলচ্চিত্র।

বৈজন্তীমালার অভিনয় ও নৃত্যশৈলী তাকে চারটি ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার এনে দেয়, যার মধ্যে তিনটি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে এবং একটি সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে।

বৈজয়ন্তীমালার প্রেমজীবন নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ছিল। রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুজব ছড়ালেও, তিনি তার আত্মজীবনী “Bonding” এ এসব গুঞ্জনকে অস্বীকার করেছেন।

১৯৬৮ সালে, বৈজয়ন্তীমালা দিল্লির চামানলাল বালিকে বিয়ে করেন, তিনি তখন তিন সন্তানের পিতা ছিলেন। বিয়ের পর অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ান। এবং চেন্নাইয়ে স্থায়ী হন। তাদের সন্তান সুচিন্দ্র বালি।

বৈজয়ন্তীমালা একজন নিবেদিত বৈষ্ণব হিন্দু এবং নিরামিষভোজী। তিনি সাধারণত প্রতিটি পারফরম্যান্সের আগে দেবী সরস্বতীর পূজা করতেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ৯০ বছর বয়সে, তিনি অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভারতীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।
উল্লেখ্য যে, বৈজয়ন্তীমালা তার সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান ও বহুমুখী শিল্পী ছিলেন। তার অভিনয়, নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অবদান আজও ভারতীয় চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিতে অম্লান হয়ে আছে।
ছবি : সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Mutton Rezala : জামাইষষ্ঠীর সন্ধেবেলায় জামাইদের পেটপুজোয় শ্বাশুড়িদের প্রথম পছন্দ মাটন রেজালা
