



সাশ্রয় নিউজ ডেস্ক ★ কলকাতা : সম্প্রতি শব্দবাণী আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকার ব্যবস্থাপনায় এবং লীনা পাবলিকেশনের সহযোগিতায় ভারতবর্ষে প্রথম কলকাতার বুকে ঐতিহ্যমণ্ডিত ট্রামে ভ্রাম্যমান বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। ধর্মতলা থেকে যাত্রা করে শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো হয়ে আবার ধর্মতলায় অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে। যাত্রা পথ ছিল ওয়েলিংটন কলেজ স্ট্রিট হাতিবাগান শ্যামবাজার।
যাবার সময় এবং আসার সময় কলেজ স্ট্রিটের রাস্তার উপরে শব্দবাণী আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকা এবং লীনা পাবলিকেশনের থেকে ট্যাবলো পত্রিকা স্কুলের ছোট ছোট শিশুদের আঁকা এবং লেখা নিয়ে নির্মিত নবাঙ্কুর পত্রিকা প্রকাশ পায়। এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাহিত্যিক অজিতেশ নাগ ও পিনাকী বসুর বইও প্রকাশিত হয়। অজিতেশ নাগের “এক ডজন অজিতেশ” বারোটি গল্পের সংকলন এবং পিনাকী বসুর কাব্যগ্রন্থ “কয়েকটা আপন শব্দ” প্রকাশিত হয়।
এছাড়াও এদিন আরও দশটি বই প্রকাশ হয়। তার মধ্যে দেবব্রত চক্রবর্তী’র “তিলোত্তমা”, দেবী পালিতের “আগুন কথা”, মৈত্রী ভট্টাচার্যের “কথায় কথায় ২”, পূজা- বোস দাসের “অরণ্য এবং”, বিধান চন্দ্র হালদারের “জীবনটাই নাটক”, মঙ্গল কুমার পুরকাইতের “পাঞ্চজন্য”, বৃন্দাবন ঘোষের “বিস্ময়কর বিষ্ণুপুর”, নবনীতা বসু হকের “বিশ্বসাথে রবীন্দ্রনাথ” প্রকাশিত হয়। এছাড়াও সমবেত সঙ্গীত ও কবিতা কোলাজ অনুষ্ঠানের অন্য রূপ ধারণ করে। সেই সঙ্গে বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী মুর্শিদাবাদ থেকে অগ্নিমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় তার আবৃত্তি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটিকে দু’টি ভাগে এবং দু’টি কম্পার্টমেন্ট জুড়ে আয়োজন করা হয়। প্রথম কম্পার্টমেন্টের প্রথম অংশের সঞ্চালনা করেন সেঁজুতি রায় চৌধুরী। দ্বিতীয় অংশের দ্বিতীয় কম্পার্টমেন্টে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন দেবব্রত চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটির ভাবনায় প্রকাশ এবং শব্দবাণী আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বাণীব্রত’র। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাহিত্যিক অজিতেশ নাগ, লেখক এবং সাংবাদিক বরুণ চক্রবর্তী, কবি পরাণ মাঝি। উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার উপদেষ্টা এবং দু’দেশের কোর্ডিনেটর লিপিকা ব্যানার্জি এছাড়াও পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলী শুচিতা গাঙ্গুলী, পলাশ দাশ, কৌশিক কুণ্ডু, সিক্তা পাল এবং পাপিয়া বসু।
ট্রাম্পটি সাজাবার ভাবনায় বাণীব্রত। ওইদিন ৯০ জন কবি উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। প্রাক পুজোর এই অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শঙ্খ ধ্বনি, উলুধ্বনি, এবং ঢাকের আওয়াজের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। সম্পাদক তাঁর ভাষণে বলেন, যারা মোবাইলমুখী তাদের বইমুখী করার জন্যই এই অভিনব উদ্যোগ। তাছাড়া হলের বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে এসেও যে বই প্রকাশ করা যায় একটু পুজোর আনন্দকে গায়ে মেখে তারই প্রচেষ্টা চালিচেছেন সংস্থার উদ্যোগত্বারা ।
