



পিনাকী চৌধুরী ★ কলকাতা : আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল সারাদেশ। শহরের রাজপথে মিটিং মিছিল বের করে প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে। এছাড়াও দেশ থেকে দেশান্তরে স্লোগান উঠছে ‘We want justice ‘! জানেন, ইদানিং সামাজিক মূল্যবোধ, শ্রদ্ধাবোধ, উদারতা, অপরকে সম্মান প্রদর্শন, শিষ্টাচার এমনকি আমরা নিজেদের বিবেকটুকুও জলাঞ্জলী দিয়ে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছি। সুতরাং পতন অনিবার্য! শুধুই সময়ের অপেক্ষা! এই প্রতিবেদক যখন গত শতাব্দীর আটের দশকের প্রথমদিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে পঠনপাঠন শুরু করে, তখন কিন্তু কম্পিউটার তো দূর অস্ত, বাড়িতে একখান টেলিভিশনও ছিল না! রোজ বিদ্যালয় থেকে ফিরেই খিদিরপুরের সেই রাস্তায় অথবা নিকটবর্তী মাঠে জল কাদা মেখে দাপিয়ে ফুটবল খেলতাম। এছাড়াও বিদ্যালয়ে মাঠেও খেলতাম। আর সন্ধ্যা ঘনালেই বাড়ির গুরুজনদের কড়া শাসনে এক চিলতে ঘরে পড়তে বসতাম। আর লোডশেডিং হলেই হ্যারিকেনের মায়াবী আলোয় উচ্চস্বরে সহজ পাঠ পড়তেই অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু সময় সদা পরিবর্তনশীল! ইদানিং আবার ইন্টারনেটের রমরমা বাজার! কম্পিউটার না জানলেও ক্ষতি নেই! কিন্তু হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুকের ব্যবহার আপনাকে জানতেই হবে! ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই নেতিবাচক প্রভাব আমাদের মধ্যে এক অনাস্বাদিত যৌনতার হাতছানি দেয় ! হ্যাঁ, এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন! আর ইন্টারনেট খুললেই পর্ণগ্রাফির ছড়াছড়ি ! কোনও রকম রাখঢাক নেই! রীতিমতো রগরগে যৌনতা! বলা ভাল, পৃথিবীর সবচেয়ে নিবিড়তম আনন্দে আত্মহারা হয়ে সেই স্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে চলেছে আট থেকে আশি। হ্যাঁ, ইদানিং যৌনতা ব্যাপারটা খুবই সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে। আর একশ্রেণীর নিম্নমানের ইউটিউব চ্যানেলে অবাধে পরিবেশিত হয় খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি স্পর্শকাতর বিষয়ের মতো সব ‘কনটেন্ট’! এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক কথাবার্তা তো রয়েছেই। আসলে আমরা প্রায় অনেকেই ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিকগুলো গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। আর তার নেতিবাচক দিকগুলো বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে শিখেছি! সুতরাং এ হেন, ‘আধুনিক’ সমাজে হিংসা তো বাড়বেই বাড়বে! সাধু সাবধান!
ছবি : আন্তর্জালিক
আরও পড়ুন : Consumer Protection : ভারতে ক্রেতা সুরক্ষার ৩৯ বছর
