



সাশ্রয় নিউজ ★ নতুন দিল্লি, ৬ মে ২০২৫: ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং কিছু সামাজিক সংগঠন সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত কিছু ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ ভারতবিরোধী প্রোপাগান্ডা ও সন্ত্রাসবাদী মনোভাব ছড়াতে সহায়তা করছে। তাদের মতে, এই ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে উগ্রবাদী ভাবধারা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে যেন অবিলম্বে এইসব ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজগুলোর ওপর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, প্রয়োজন হলে সেগুলো ভারতে ব্লক করা হয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি। যে কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক, উসকানিমূলক বা বিভাজনমূলক প্রচারণা ভারত সরকারের কাছে গুরত্বপূর্ণ বিষয়। প্রয়োজন হলে ইউটিউব ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে তা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।
সামাজিক মাধ্যম বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের কন্টেন্ট মনিটর করার জন্য শুধু সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়; বরং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ভারতে কিছু রাজ্যে বিশেষ সাইবার মনিটরিং ইউনিট গঠন করা হয়েছে, যারা এই ধরনের কন্টেন্ট চিহ্নিত করতে কাজ করছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যেন অন্যায্য সেন্সরশিপ না হয়, সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা দরকার। যদিও কিছু বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তবুও বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। সরকার, প্রযুক্তি কোম্পানি ও সমাজের যৌথ উদ্যোগেই সঠিক সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব, যাতে উস্কানিমূলক কন্টেন্ট বন্ধ হয়, আবার স্বাধীন মতপ্রকাশও বজায় থাকে।
ছবি : সংগৃহীত
