Sasraya News

Sitare Zameen Par : বিয়ের পর নায়িকারা ‘অদৃশ্য’, বলিউডকে একহাত নিলেন জেনেলিয়া

Listen

স্নিগ্ধা বসু ★ সাশ্রয় নিউজ : ‘সিতারে জমিন পর’ (Sitare Zameen Par) ছবি নিয়ে ফেরবলিউডে ফিরেছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা’। এবং ফেরার সঙ্গেই যেন নতুন করে ঝড় তুলেছেন জেনেলিয়া (Genelia D’Souza)। আমির খান (Aamir Khan) অভিনীত আসন্ন হিন্দি ছবি ‘সিতারে জমিন পর’ (Sitare Zameen Par)-এ তাঁর উপস্থিতি ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে। ছবির ঘোষণার সময় প্রযোজনা সংস্থার তরফে যখন অভিনেতাদের নাম প্রকাশিত হয়, তখনই নেটদুনিয়া তোলপাড় হয়ে ওঠে জেনেলিয়ার নাম দেখে। কিন্তু সিনেমায় তাঁর প্রত্যাবর্তনের চেয়েও বেশি করে শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর তীব্র ক্ষোভ। শুধু তা-ই নয়, তাঁর ক্ষোভের নিশানায় রয়েছে গোটা বলিউড।

আমির খান ও জেনেলিয়া ডি’সুজা। ছবি : সংগৃহীত 

ছবির প্রচারে ব্যস্ত গোটা ইউনিট। ২০ জুন মুক্তি পাচ্ছে ‘সিতারে জমিন পর’, আর তার আগে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন অভিনেতারা। এই ব্যস্ততার মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে জেনেলিয়া প্রকাশ্যে আনলেন তাঁর অভিজ্ঞতা, বিয়ের পর কেমন ভাবে ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে কার্যত উপেক্ষা করে এসেছে। তাঁর সোজাসাপটা অভিযোগ, “বিয়ের পরে একটা অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি করে দেয় বলিউড। পুরুষ অভিনেতাদের জন্য সে দেওয়াল নেই, কিন্তু নায়িকাদের ক্ষেত্রে সেটা যেন নিয়ম!”

আমির খান ও জেনেনিয়া ডি’সুজা। ছবি: সংগৃহীত

জেনেলিয়ার কথায়, বিয়ের পর থেকেই পরিচালকরা কিংবা প্রযোজকরা তাঁকে আর কাস্টিংয়ের তালিকায় রাখেননি। যে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি একসময় হিট সিনেমার নায়িকা ছিলেন, সেই ইন্ডাস্ট্রি যেন হঠাৎ করেই তাঁকে ভুলে গিয়েছিল। “কেউই আর ভাবেন না, আমায় ডাকা উচিত। মনে হয়, বিয়ে হয়ে গিয়েছে, বাচ্চা আছে তাহলে সে আর কাজ করতে পারবে না। এটা কষ্টদায়ক,” বললেন অভিনেত্রী।তবে আমির খান তাঁকে সরাসরি ডাকেননি, এই বিষয়টি জেনেলিয়া আলাদা করে প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, “আমায় এই চরিত্রের জন্য তিন বার অডিশন দিতে হয়েছে। কেউ কেউ হয়ত এতে অপমানিত হতেন, কিন্তু আমি নই। বরং খুবই কৃতজ্ঞ, কারণ আমির স্যার অন্তত আমায় সুযোগ দিয়েছেন প্রমাণ করার।”
এখানেই তিনি থেমে যাননি। ইদানীং সিনেমায় কম বয়সি অভিনেত্রীদের দিয়ে বেশি বয়সের চরিত্র করানোর ট্রেন্ড নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “যে বয়সের চরিত্র, সে বয়সি কাউকে দিলেই তো বাস্তবটা ঠিকভাবে ফুটে ওঠে। তরুণী অভিনেত্রীরা অনেক সময়েই জীবনের সূক্ষ্ম অভিজ্ঞতা বুঝে উঠতে পারেন না। বয়সের অভিজ্ঞতা, মানসিক স্তরের গভীরতা, এসবের সঙ্গে মেলানো তখন মুশকিল হয়ে পড়ে।”

জেনেলিয়া ডি’সুজা। ছবি : সংগৃহীত

জেনেলিয়ার এই উপলব্ধি যেন বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির একটা মুখ খুলে দেওয়া সত্যি। বয়স, বৈবাহিক পরিচয়, মাতৃত্ব। সব মিলিয়ে বলিউডে একজন নায়িকার জায়গা যেন দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। অথচ আমির খানের মতো এক সুপারস্টার যখন সিতারে জমিন পর-এর জন্য তাঁকে বেছে নেন, তখন সেই পরিস্থিতির বদল হবার ইঙ্গিত মেলে। উল্লেখযোগ্য যে, সিতারে জমিন পর মূলত ২০১৮ সালের স্প্যানিশ ছবি ‘ক্যাম্পিওনসে’-এর (Campeones) হিন্দি রূপান্তর। ছবিতে আমির ও জেনেলিয়া দু’জনেই চল্লিশোর্ধ্ব এক দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করছেন। চরিত্রের প্রয়োজনে আমির খানকে তাঁর বাস্তব বয়স থেকে কিছুটা ‘কম বয়সি’ দেখাতে হয়েছে। এই বিষয় নিয়েও সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়। আমির অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পর্দায় তাঁর এবং জেনেলিয়ার বয়সের তফাৎ কোনোভাবেই চোখে পড়বে না।

আমির খান ও জেনেলিয়া ডি’সুজা। ছবি : সংগৃহীত

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিনেমার জগতে বয়স যেন এক অদৃশ্য শর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নারী শিল্পীদের ক্ষেত্রে। জেনেলিয়ার বক্তব্য, অভিজ্ঞতা, এবং ফেরার লড়াই যেন সেই অদৃশ্য শর্তকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। হয়ত এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। যেখানে বিয়ে বা বয়স নয়, একজন অভিনেত্রীর যোগ্যতাই হবে মূল পরিচয়।

ছবি : সংগৃহীত 

আরও পড়ুন : Extramarital Affairs: বউ বাচ্চাদের রেখে মাসী শ্বাশুড়ির সঙ্গে চম্পট দিল যুবক

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment

Also Read