



সাশ্রয় নিউজ ডেস্ক ★ কলকাতা : ভারতীয় ক্রিকেটে চলছে এক নতুন যুগের সূচনা। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। আর সেই শূন্যতা পূরণ করতে এবার ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারেন শুভমন গিল (Shubhman Gill)। ইংল্যান্ডের মাটিতে ৫ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে শুভমন দলের নেতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, শুভমন গিল কি সফল অধিনায়ক হতে পারবেন?
অভিজ্ঞতার ঘাটতি: এক বড় চ্যালেঞ্জ
শুভমন গিলের নেতৃত্বগুণ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে তার অভিজ্ঞতা খুবই সীমিত। এখনোও পর্যন্ত ভারতের কোনও ফরম্যাটেই তাঁকে সম্পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যায়নি। তাছাড়া, ইংল্যান্ডের মতো কঠিন কন্ডিশনে, যেখানে প্রতিটি সেশনে ম্যাচের রং বদলে যায়, সেখানকার চাপ সামলানো এবং মাঠের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া নতুন অধিনায়কের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে, শুভমন গিল টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান। তিনি যদি নিজের ব্যাটিং ফর্ম ধরে রাখতে পারেন, তাহলে দলের জন্য অনেক বড় স্বস্তি হবে। কিন্তু অধিনায়কত্বের চাপের মধ্যে নিজের ব্যাটিং ফোকাস ধরে রাখা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের পেস-সুইং কন্ডিশনে ধারাবাহিক রান করা ও অধিনায়কত্বের চাপ একসঙ্গে সামলানো কতটা সম্ভব, সেটাই বড় প্রশ্ন।
ট্যাকটিক্যাল দূরদর্শিতা: প্রমাণের অপেক্ষা
শুভমন গিল এখনও টেস্ট ক্রিকেটের কৌশলগত গভীরতা নিয়ে নিজের উপস্থিতি পুরোপুরি প্রমাণ করতে পারেননি। বোলার পরিবর্তন, ফিল্ড সেটিং, ইনিংসের মোমেন্টাম বদলানো—এই ধরনের কঠিন সিদ্ধান্তগুলো কতটা ঠান্ডা মাথায় নিতে পারবেন, সেটা সময়ই বলবে। বিশেষ করে, বুমরাহ-শামির মতো সিনিয়র বোলারদের অনুপস্থিতিতে গিলকে আরও বেশি বোলিং ইউনিটকে প্রেরণা জোগাতে হবে।
ড্রেসিংরুমের নেতৃত্ব: চুপচাপ নেতা না কি আগ্রাসী?
গিলের ব্যক্তিত্ব বরাবরই শান্ত ও সংযত। তবে ভারতীয় দল প্রায়শই আগ্রাসী নেতাদের অধীনে সাফল্য পেয়েছে—মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা প্রত্যেকেই মাঠের মধ্যে আক্রমণাত্মক ছিলেন। শুভমন গিল কি সেই ধারা বজায় রাখতে পারবেন? নাকি তিনি ধীরস্থির নেতৃত্ব দিয়ে ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন? সেটাও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কিন্তু!
গিলের সম্ভাব্য সাফল্য: আশার আলো
১. নতুন প্রজন্মের মুখ হিসেবে দলকে জোগাতে পারেন ফ্রেশ এনার্জি। ২. ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেন। ৩.বিসিসিআই ও কোচিং স্টাফের সমর্থন পেলে চাপ কাটিয়ে সফল হতে পারেন।
প্রসঙ্গত, শুভমন গিলের নেতৃত্বে ভারতের টেস্ট দল নতুন দিকনির্দেশনা পাবে কি না, তা নির্ভর করবে তার মানসিক দৃঢ়তা, কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা, এবং দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সমর্থনের উপর। ইংল্যান্ডের কঠিন কন্ডিশনে গিলের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট খুবই কঠিন, তবে এটিই হতে পারে তার অধিনায়কত্বের পরীক্ষার মঞ্চ।
ছবি : সংগৃহীত
আপনার কি মনে হয়, শুভমন গিলের নেতৃত্বে ভারত ইংল্যান্ডে সাফল্য পেতে পারে? কমেন্ট বক্সে
আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না!
