



কেউ কোনওদিন তাঁকে হারাতে পারেননি। অবহেলিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় লিখেছেন বিদূষক, বোতল পুরাণ তাঁর নিজের কাগজে। তলে তলে বিপ্লবী দের সহায়তা করেছে নিজের ছাপাখানা “পণ্ডিত প্রেসে’’ তিনি দাদাঠাকুর নামে খ্যাত শরৎচন্দ্র পণ্ডিত (Dada Thakur Sarat Chandra Pandit) লিখলেন : কুণাল কান্তি দে।
দাদাঠাকুর
অগাস্ট মাসের বিষয় লিখতে গিয়ে এমন একজন ব্যক্তির কথা শোনায় যাঁর নাম সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। একজন তেজস্বী সৎ নির্লোভ, মেরুদণ্ড সোজা রেখে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে জিতেছেন বারবার। সারা রাজ্যে তাঁর সুখ্যাতি সুবিদিত। নেতাজি, নজরুল, থেকে বিপ্লবী নলিনীকান্ত সরকার তাঁর ছায়ায় আশ্রিত ছিলেন। জলে নেমেও চুল ভিজিয়ে হাসির খোরাক হননি। বরঞ্চ তাঁর কথার জাদুতে হাসির ফোয়ারা ছুটেছে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়েও সব্যসাচীর মত সব কাজে জয়ী হয়েছেন। একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার নিজেই এডিটর, রিপোর্টার, প্রুফ রিডার, খালিপায়ে কলকাতার রাজপথে সাপ্তাহিক জঙ্গিপুর সংবাদ পত্রিকার সেলার (বিক্রেতা) অথচ অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করা ছড়াকার সমাজের দুষ্টু ক্ষতকে নির্মূল করেছেন ধী শক্তি দিয়ে। কেউ কোনওদিন তাঁকে হারাতে পারেননি। অবহেলিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় লিখেছেন বিদূষক, বোতল পুরাণ তাঁর নিজের কাগজে। তলে তলে বিপ্লবী দের সহায়তা করেছে নিজের ছাপাখানা “পণ্ডিত প্রেসে’’ তিনি দাদাঠাকুর নামে খ্যাত শরৎচন্দ্র পণ্ডিত। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমায় তাঁর বাসস্থান ও ছাপাখানা হলেও কলকাতা সহ সারা বাংলায় তাঁর বিচরণ। তিনি সেই প্রবাদ বাক্য বলতে পারেন, “আমার যেমন বেণী তেমনি রবে চুল ভিজবো না রে বেণী ভিজবো না…” কেউ কোনওদিন তাঁর টিকি ছুঁতে পারেননি। না নিন্দুকেরা না ইংরেজ না সরকারী আমলারা। জন্মদিনই তাঁর প্রয়াণ দিবস। উজ্জ্বল সূর্যকে প্রণাম জানাই।
ছবি : আন্তর্জালিক
আরও পড়ুন :
