



সাশ্রয় নিউজ ★ লাইফ স্টাইল ডেস্ক : শিল্প নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে। শিল্প নিয়ে কাজ করতে ভাল লাগে। এভাবেই নিজের শিল্পকর্ম সম্পর্কে নিজেকে প্রকাশ করেন প্রীতি। একজন শিল্পীর কাছে শিল্প মাধ্যমগুলি টানবে এটাই স্বাভাবিক। লেখাপড়া হোক, সংসার বা দৈনন্দিন যাবতীয় কিছু। সমস্ত কিছুর ভেতর শিল্পের রস খোঁজেন প্রীতি। শেখা ও শেখানো এই দু’য়ের ভেতর অমোঘ টান। শিল্পের সৌন্দর্য সবখানেই।
_____________________________________________
জীবন যুদ্ধে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করেও কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রীতি পড়াশুনোকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। ডিপ্লোমা করেছেন, ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর।
_____________________________________________
ছবি আঁকা তাঁর নেশা। পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী তরুণ শিল্পী কাজ করছেন পোশাকের ওপর হ্যান্ড পেইন্টের।
তা টি শার্ট হোক বা শাড়ি। সেটা কেমন? প্রীতির কথায়, “হ্যান্ড পেন্ট সব ধরণের শাড়িতে করা যায়। এটি অ্যাক্রামি রংয়ে করা হয়। এবং কালার করার পর যে কোনও ড্রেস রোদে শুকতে হয়। তারপর অবশ্যই উল্টো করে আয়রন করা দরকার তাহলে রংটা ভালো করে বসবে।”
জীবন যুদ্ধে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করেও কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রীতি পড়াশুনোকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। ডিপ্লোমা করেছেন, ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকেও লেবেল ও ইলেভ আর্ট অ্যাণ্ড ডিজাইন যোগ্যতার সঙ্গে পাশ করেন। এছাড়াও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে HRM-এ MBA করার পরে বর্তমানে ঢাকা আর্ট কলেজে চারুকলায় নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি বেশ ঝোঁক ছিল। সে’টি-ই যে নেশা ও পেশা হয়ে দাঁড়াবে, তা হয়ত তিনি নিজেও জানতেন না। তবে মনের ভেতর শিল্পের শেকড় পুঁতে নিয়ে ছিলেন একান্তে। চুপচাপ।
ছোটবেলায় লেখাপড়া’র পাশাপাশি লুকিয়ে লুকিয়ে ছবি আঁকা শুরু হয়েছিল। প্রীতি জানান, একটি ছবি আঁকা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ভালবাসা। পরে সেখান থেকেই শাড়ি, টি-শার্ট ফতুয়া তে হ্যান্ড পেইন্ট করা শুরু। “এখন মসলিন, সিল্ক ও সুতির পোশাকে হ্যান্ড পেইন্ট করি। এই শাড়ি পরে দিয়ে দেশেও বিদেশে র্যাম্পিং হয়েছে ক’য়েকবার।”
প্রীতি মজার ছলে জানান, “প্রথম ২০১৪ সালে নববর্ষের একটি জামদানি শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্ট করি। শাড়িটি খুব সুন্দর হয়েছিল। মজার হল যে, শাড়িটি আমিই সে বছর নববর্ষতে পরেছিলাম। সবাই বললেন, খুব সুন্দর হয়েছে। অনুপ্রেরণা পেলাম। সেই থেকেই শাড়িতে হ্যান্ড পেইন্ট করা শুরু করি। তবে তার এর আগেও অনেক ফতুয়া ও পাঞ্জাবিতেও হ্যান্ড পেইন্ট করেছি।”
কেমন ছিল তাঁর পারিবারিক পরিবেশ? প্রীতি দেব বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে ২৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন। সাজানো পরিবার। বাবা, মা, তিন বোন ও দুই ভাই। ভাই-বোনদের ভেতর সবার ছোট প্রীতি।
বাবা মা’য়ের আদরের বেড়ে ওঠা। হয়ত তাঁদের অপ্রকাশ্য ইচ্ছেতেই প্রীতি শিল্পের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
বাংলাদেশ ও বিদেশে তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শিত হয়েছে। পেয়েছেন অনেক অ্যাওয়ার্ড। বইয়ের প্রচ্ছদ ও ইলাস্ট্রেশন ও প্রচ্ছদও করেন।
তরুণ শিল্পী জানান, “বেডশিট ও কুশান কভারেও হ্যান্ড পেইন্ট করা হয়। এগুলোতে কাজও করে বেশ আরাম বোধ করি।
এছাড়াও এদেশের (বাংলাদেশের) কিছু মডেল আমার কাজ করা শাড়িগুলো পরে মডেলিং করেছেন। “মজমা” নামের একটা ব্যান্ড গ্রুপে আমার করা টি শার্ট পরে তাঁদের ব্যান্ড সঙ্গীত পরিবেশনা করেন।”
আরও খবর : Rinku Singh : রিঙ্কু সিং-এর ভেতর ভবিষ্যৎ দেখছে বোর্ড : সূত্র
