



কবি সুবীর সরকার জন্ম জানুয়ারী ১৯৭০ সালে, কোচবিহারে। কবি দীর্ঘ সময় সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় অনায়াস লেখালেখি করেন। ১৯৮৭ থেকে লেখালেখি শুরু। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম ও বাংলাদেশের বহু পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। ১৯৯৬ সালে কবির প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই ‘যাপনচিত্র’ প্রকাশিত হয়েছিল। সাশ্রয় নিউজ-এর আজকের পাতায় রইল কবির কবিতাগুচ্ছ।
সু বী র স র কা র
বাড়ি
পাখি উড়ে গেলে শুনি জলের শব্দ।
গানের প্রহার বুঝি।
আমাদের আঙুল ঢুকছে অন্যরকম রোদের
ভেতর
বাকি কথা দুপুরেই হবে।
শূন্যতায় ডুবে থাকছে সমস্ত ঢেউ টিনের বাড়ি
হলুদ শহরের মেয়র
‘আমার কাছে আপনি বরাবরই একজন রহস্যময়
মানুষ’
একসময় ভোরবেলা চিঠি লিখতাম হলুদ শহরের
মেয়রকে
তারপর রঙ পালটে হলুদ হয়ে যেত দোতলা
বাস
কলাবাগানের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা পেঁচা খুঁজতে
শুরু করতাম আমরা
বেড়াল
রুলটানা খাতায় মনস্তাপ লিখতে শুরু করলেন একজন ভিনদেশী পর্যটক।লিখতে লিখতে এঁকেও
ফেললেন সাদা বেড়াল। চারপাশে অদ্ভুত একটা আলোর ছায়া ঘন হতে থাকা শীতকালের মত। এদিকে আলপথ ধরে হাঁটতে থাকা মানুষেরা মনস্তাপের গল্পের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে
পর্যটক ডান হাতে ছুঁড়তে থাকলেন মার্বেল।
আমরা দেখলাম কিভাবে অদৃশ্য হয়ে গেল সেই সাদা
বেড়ালটি!
মায়া
কয়েক মাইল উত্তরে গেলেই একটা সীমান্তগ্রাম
কাঁটাতার ছুঁয়ে উড়ে যাওয়া পাখি।
লম্বা মানুষের ছায়া আরো দীর্ঘ হয়ে এলে
জল ও জঙ্গল লিখি,গঞ্জহাটের মায়া
লিখি।
বিরহ
যে নদীতে হরিণ জল খেতে আসে সেখানে ঝুলিয়ে
রাখা হয় নোটিশবোর্ড।
এখন প্লাবনকাল।
মাটিতে পড়ে থাকছে পায়ের ছাপ।
অনেক বছর পর আমাদের দেখা হবে নিশ্চিত
বাঁশিতে বিরহ বাজলে নদী ভাঙা মানুষেরা গেয়ে ওঠে
গান
🍁সাশ্রয় নিউজ-এ আপনিও দিতে পারেন স্বরচিত স্থানীয় সংবাদ, ফিচার, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, উপন্যাস … ★ ই-মেল : sasrayanews@gmail.com
