



🍂কবিতাগুচ্ছ
কবি কাকলী দাস ঘোষ স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পরে পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-এ উত্তীর্ণ হন। বেশ কিছু বাংলা ও ইংরেজি পত্র-পত্রিকায় ওনার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ওয়েব ম্যাগাজিন এও ওনার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সাশ্রয় নিউজ-এর আজকের পাতায় রইল কবির কবিতাগুচ্ছ।
কাকলী দাস ঘোষ
গভীরে
পরছায়া লম্বা হতে হতে তোমাকে ছুঁতে চায়…
শুনেছি তুমি এখন ভীষণ বৃষ্টি হয়েছ…
তাই গাছ হয়ে গেলাম।
না আকাশকে নয়…
মাটি চিরে তোমাকে ছুঁব।
শুনেছি বৃষ্টি নাকি
মাটির গভীরে যায়।।
আগামী
জলছবি হয়ে জীবন কি চেনা যায়
তবুও জ্বলুক লাল নীল বাতিঘর
নিজেকে নিজে চিনতে পারিনি আজও
কি করে চিনি কে আপন কে যে পর!
ভাসুক জীবন যেদিকে দু’চোখ যায়
দুই হাত মেলে পাখি হতে চাই আমি
কখনো-বা মন নৌকাও হতে চায়
কোথায় চলেছি জানে শুধু আগামী।।
প্রশান্তি
চরাচর ভেঙে তুমি এসো…
কালের অমোঘ গতিতে তুমি এসো…
তুমি দুর্লভ,
তবুও সৎ সহস্র হংশের ডানায় তুমি এসো…
তোমাতে আমি স্নিগ্ধতা মেখে নেব।
তোমাতে আমি মেখে নেব রিমঝিম বরষার ময়ূর পেখম…
প্রায় নিশ্চিহ্ন-নির্লিপ্ত-বিমর্ষ দেহভারে…
সমস্ত কাটা ছেঁড়া রক্তের কাঁটা তারে…
শান্তির পসরা নিয়ে তুমি এসো।
আমি আর মৃত্যুকে ভালবাসি না
আমার জীবন নিয়ে তুমি এস।।
গোপনে
অশরীরী রাত এক একটা
যন্ত্রণার স্ফুরণের মত
যত গভীরে যাই প্রদীপ তার শেষ তেলটুকু নিঙড়ে নিয়ে বলে
বিচ্ছুরণের আলো পাঁজরের পলতেতে কী আশায় জ্বালাতে চাই-তোমরা জান না…
বল না-কেন সব উচ্চারণের শেষ হয়
খুব কষ্ট হয়-কক্ষটাকে আলো দিতে পারি না যখন।
সব-সব শেষ হয়ে যায় খুব খুব গোপনে।
হাঁটার গল্প
স্পর্শটা চিরন্তন নয়
তবু থেকে যায়
গমক্ষেত-শালিক-ময়রার দেশ…
ঝাপসা কাঁচ ভেসে যায়।
সোহাগ তো কণার মত
বুকে বুকে বাসা…
হাঁটা মানে কিছুটা পথ
একেই কী বলে ভালবাসা।।
🍂অঙ্কন : প্রীতি দেব ও আন্তর্জালিক
এক নজরে 👉 সাশ্রয় নিউজ-এ আপনিও পাঠাতে পারেন স্থানীয় সংবাদ। এছাড়াও রবিবারের সাহিত্য স্পেশাল-এর জন্য উপন্যাস, কবিতা (একধিক কবিতা পাঠালে ভালো হয়। সঙ্গে একটি লেখক পরিচিতি)। গল্প, প্রবন্ধ, গদ্য, পুস্তক আলোচনা (আলোচনার জন্য দুই কপি বই পাঠাতে হবে), ভ্রমণ কাহিনী। লেখার সঙ্গে সম্পূর্ণ ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর থাকতে হবে। অবশ্যই কোনও প্রিন্ট বা ডিজিটাল মাধ্যমে এমনকী কোনও সোশ্যাল মিডিয়াতে বা পোর্টালে পূর্ব প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না। ই-মেল করে লেখা পাঠান। ই-মেল আই ডি : editor.sasrayanews@gmail.com
বি: দ্র: সমস্ত লেখা লেখকের নিজস্ব। দায় লেখকের নিজস্ব। কোনও বিতর্কিত বিষয় হলে সংবাদ সংস্থা কোনওভাবেই দায়ী থাকবে না এবং সমর্থন করে না। কোনও আইনি জটিলতায় সাশ্রয় নিউজ চ্যানেল থাকে না। লেখক লেখিকা প্রত্যেকেই লেখার প্রতি দ্বায়িত্ববান হয়ে উঠুন। লেখা নির্বাচনে (মনোনয়ন ও অমনোনয়ন) সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
