Sasraya News

Nehal Modi Arrested, PNB 13500 crore fraud | নীরব মোদীর ভাই গ্রেফতার: ১৩ হাজার কোটির PNB কেলেঙ্কারির ছায়ায় ফের উত্তাল আন্তর্জাতিক মহল

Listen

সাশ্রয় নিউজ ✪ ওয়াশিংটন : ওয়াশিংটন থেকে দিল্লি আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) কেলেঙ্কারি। পলাতক হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী (Nirav Modi)-র ভাই নেহাল দীপক মোদী (Nehal Deepak Modi) অবশেষে গ্রেফতার হলেন আমেরিকায়। ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভুয়ো ঋণ প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত নেহালকে গতকাল, ৪ জুলাই, আমেরিকার একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পাকড়াও করেছে। ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর অনুরোধে ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই আন্তর্জাতিক নোটিসের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ। মার্কিন বিচারবিভাগ জানিয়েছে, আগামী ১৭ জুলাই এই মামলার শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। এর আগে পর্যন্ত জামিনের আবেদন করার সুযোগ থাকলেও, মার্কিন কৌঁসুলিরা সেই জামিনের বিরোধিতা করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

২০১৮ সালে প্রকাশ্যে আসে ভারতের অন্যতম বড় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি PNB জালিয়াতি। অভিযোগ, নীরব মোদী ও তাঁর সহযোগীরা মিলে ভুয়ো এলওইউ (Letter of Undertaking) ব্যবহার করে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছিলেন। এককভাবে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ৬,৪৯৮ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে, তাঁর কাকা মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)-র বিরুদ্ধে অভিযোগের অঙ্ক ৭,০৮০ কোটি টাকা।

সিবিআই ও ইডি-র চার্জশিট অনুযায়ী, শুধু নীরব নন, তাঁর ভাই নেহাল মোদীও এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, নীরব মোদী যখন জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেন, তখন নেহাল মোদী পরিকল্পিতভাবে তাঁকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। তিনি তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিলেন বলেও অভিযোগ তুলেছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, “নেহাল মোদী একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করে ও সেই অর্থকে বৈধ রূপ দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে ফেরত আনতেন। এটি এক জটিল হাওয়ালার রূপরেখা, যেখানে কাগজে-কলমে কোনও প্রমাণ রাখার চেষ্টা করা হয়নি।”

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসেই দেশ ছেড়ে পালান নীরব মোদী ও মেহুল চোকসি। এরপর ২০১৯ সালের মার্চে লন্ডনে নীরব মোদীকে গ্রেফতার করে ইউকে পুলিশ। সেই থেকেই তিনি লন্ডনের একটি জেলে বন্দি। বারবার ভারত তাঁকে প্রত্যর্পণের দাবি জানালেও আইনি জটিলতায় প্রক্রিয়াটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এদিকে মেহুল চোকসিকেও বেলজিয়াম থেকে গ্রেফতার করা হলেও, তিনি এখন ডমিনিকা দ্বীপে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার দাবি জানিয়ে রেখেছেন। অন্য দিকে, নেহাল মোদীর গ্রেফতারের ঘটনা ফের একবার এই বহু আলোচিত কেলেঙ্কারিকে সামনে এনে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে এতদিন কীভাবে আন্তর্জাতিক আইনব্যবস্থা তাঁকে খুঁজে বের করতে পারল না? তদন্তকারীদের মতে, “নেহাল মোদী সবসময় প্রযুক্তির ব্যবহার করতেন নিজের অবস্থান গোপন রাখতে। মাঝে মধ্যেই পরিচয়পত্র বদল করতেন, কখনও কানাডা তো কখনও ইউরোপের কোনও দেশে আত্মগোপন করতেন।” এই ঘটনায় সিবিআই এবং ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা নেহাল মোদীর প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া জোরদার করতে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে। এক আধিকারিক জানান, “আমরা চাই, নেহাল মোদীকেও নীরব মোদীর মতো ভারতে এনে আইনের মুখোমুখি করা হোক। তাঁকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু অজানা তথ্য পেতে পারি।” সূত্রের আরও খবর, আপাতত নেহাল মোদী আমেরিকার হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর প্রত্যর্পণ ভারতীয় তদন্তে নতুন গতি আনবে বলেই মনে করছেন আইনবিদরা।

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Chingri Kalia Recipe | চিংড়ি মাছের কালিয়া : রুই নয়, আজ ঘরেই উপভোগ করুন এই ৫ মিনিটের রাজকীয় স্বাদ

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment

Also Read