



তলিয়ে গেল বাড়িঘর, এলাকায় শোক
সাশ্রয় নিউজ : চোখের সামনে নিমেষে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘর চাষ জমি। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই বাড়ি মালিক, জমি মালিকদের। এখন আস্তানা বিডিও অফিসের দেওয়া অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। জমি-জিরেত ঘরবাড়ি সব হারিয়ে এখন ত্রাণ শিবিরই মানুষগুলির ঘর বাড়ি উঠোন। চোখের তলায় সর্ষে ফুল দেখছেন ওঁরা। জীবনের যাবতীয় যা কিছু সঞ্চয়, খাবার-দাবার, পোশাক পর্যন্ত গঙ্গা গিলে নিয়েছে। একবুক কষ্ট আর অফুরন্ত বিষাদ নিয়ে ত্রাণ শিবিরে দিনেরপর দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। ত্রাণ শিবিরের একজন ব্যক্তির কথায়, ‘কখনও ভাবতে পারিনি আমাদের এমন দুর্দিনের মধ্যে পড়তে হবে। কখনও ভাবিনি, পথের ভিখিরি করে ছেড়ে দেবে গঙ্গা-ভাঙন।’ একজন মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘কোথায় যাব? কী খাওয়াব ছেলে মেয়েদের? যদি সরকারের লোকজন গঙ্গা ভাঙনকে ছেলেখেলা হিসেবে না নিত, তাহলে আজ আমাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হত না! আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল!’
মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন অব্যাহত। ভাঙন আর্তনাদে ফেটে পড়ছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। গতকাল আবার তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর। সামসেরগঞ্জ জুড়ে শোকের ছায়া বাড়ছে দিনকে দিন। বাড়ছে আতঙ্ক। গতকাল সামসেরগঞ্জের মহেশটোলায় নতুন করে ভাঙনের মুখে পড়ে নিজেদের সামলাতে পারছেন না মানুষজন। খবর পেয়েই সামমসেগঞ্জ বিডিওর নির্দেশে ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে পৌঁছন একটি প্রতিনিধি দল। তাঁরা গৃহহীন মানুষদের ত্রাণ শিবিরে থাকা খাওয়া ও পানীয়জলের ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন।
জানা যাচ্ছে যে, বেশ কিছু বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির লোকজনকে আগেই সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, সরকার গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন নিয়ে আরও সতর্ক হলে আমাদের মতো অনেক অনেক দরিদ্র পরিবারের এই অবস্থা হত না।
