



কেন কাঁদলেন বিধায়ক রামকৃষ্ণ?
পাটনা : পরিবারে ওঁরা দুজন ও ১ কন্যা, ৫ পুত্র। ইন্দিরা আবাস যোজনার একটি বাড়ি পান ২০০৪ সালে। রাউন গ্রামের সেই বাড়িতেই থাকেন বিহারের সবচেয়ে দরিদ্র বিধায়ক, রামকৃষ্ণ। নির্বাচন কমিশনকে হলফ নামায় এই আর জে ডি নেতা জানান, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মোট ৭০,০০০ /- টাকা। নগদ ২৫,০০০ /- টাকা, স্ত্রী-এর নগদ অর্থ ৫,০০০ /- টাকা।
রামকৃষ্ণ ২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন। অকপটে স্বীকার করেন, “লালুপ্রসাদ যাদবই আমাকে নেতা হিসেবে তৈরি করেছেন। তারপর বিধায়ক বানিয়েছেন।” আরজেডি-এর এই বিধায়ক সম্প্রতি বিহারের অন্যান্য বিধায়কদের মতন বিহার সরকারের তরফ থেকে বাংলো পেয়েছেন। পাটনা শহরের বীরচাঁদ প্যাটেল পথ-এর বাংলোর চাবি বিধায়কদের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বাংলোর চাবি হাতে নিয়ে ৪৬ বৎসর বয়সী বিধায়ক রামকৃষ্ণ আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। জনসমক্ষে অকপটে বলেন, বিহারের সব থেকে গরিব বিধায়ক তিনি। তাঁর কথায়, ‘কোনও গরিব মানুষ যে দিন কিছু পান, সে দিন তাঁর কাছে দীপাবলি হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমার হাতে বাড়ির চাবি দিয়েছেন, যে বাড়ির কথা আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। তাই আজ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি।’
