



টাটাকে আমি তাড়াইনি তাড়িয়েছে সিপি আই এম, মন্তব্য মমতার
সাশ্রয় নিউজ : টাটা এসেছিল ২০১১ সাল সিপিএম জামানায়। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল ন্যানো গাড়ির কারখানার। কর্ম সংস্থান হত হাজার হাজার মানুষের বক্তব্য ছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। কিন্তু বদলে গেল পালা। টাটা আন্দোলনের থাম পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর আন্দোলনের প্রধান কারণ, মানুষকে একাট্টা করে কৃষি জমির কথা উল্লেখ করেই গড়ে উঠেছিল কৃষক ও শ্রমজীবীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন। বলিদান হয়েছিল বাংলার উন্নয়ন। আর উল্টদিকে আন্দোলের ফলে ২০১২ সালে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা উত্তোলন হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। অদ্ভুত ভাবেই ৩৪ বছরের বামফ্রন্টের শাসনের অবসান ঘটে যায়। অন্য দিকে টাটা গোষ্ঠীর বিগ প্রজেক্ট গেঁড়োই গুগলি হয়ে উঠে চলে যায় ভিনরাজ্যে। আর মমতার কৃষকদের জমি ফেরৎ দেবার আন্দোলন কতদূর এগিয়েছিল, জনগনের কতটা জানা আছে তার আলোচনা সেই ভাবে কোনও দল বা গোষ্ঠী ভ্রূক্ষেপ করেছেন বলে জানা নেই তেমন।
বর্তমান দিনে উঠে আসছে সেই ভারতের ইতিহাস তৈরির একমাত্র প্রথম শিল্প গোষ্ঠী টাটার নাম। বলা যায় প্রকাশ্যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, টাটা গোষ্ঠীকে তিনি তাড়িয়ে দেননি।
বলা যায় যে ২০১১ সালে হুগলি জেলার সিঙ্গুর এলাকায় জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের পিছনে বাম সরকারের ক্ষমতাচ্যুত করবার কারণ রয়েছে বলেই বুদ্ধিজীবীদের এক অংশ মনে করছেন।
উল্লেখ্য, ৭ ম বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই টাটা মোটরস সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিল। সিঙ্গুরে যেখানে টাটা ন্যানো কারখানা থমকে গিয়েছিল, সেখানেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন শিল্পের কথা করলেন বলে জানা যায়।
কলকাতায় এক বিজয়া সম্মিলনীতে যেখানে উত্তর অঞ্চলের আটটি জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং দুর্গাপূজা কমিটির সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁদের উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দিতে গিয়েই বলেন, “আমি টাটাকে সিঙ্গুর থেকে তাড়িয়ে দিইনি। যাদের জমি বামফ্রন্ট অধীগ্রহণ করেছিল আমি তা অনিচ্ছুক জমি মালিকদের ফিরিয়ে দিয়েছি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ঐ এলাকায় কারখানা হোটেল করে যুবক যুবতিদের কাজের সুযোগ করে দিতে চান। এই রাজ্য বিশ্বের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। কিছু মানুষ ফালতু বলছেন যে আমি টাটাদের তাড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু এটা তারা ভুল বলছেন। আমি শিল্পপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি এবং রাখব। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যা দরকার আমরা করব। জমির অভাব নেই, কেন কৃষকদের জোর করে জমি নেব। আমরা অনেক প্রকল্প করেছি কোথাও জোর করে জমি নিইনি। তিনি আরও বলেন, এই বাংলায় যত শিল্পপতি আছেন তাঁদের উচিৎ বাংলায় বিনিয়োগ করে কর্মসংস্থান তৈরি করা। যদিও সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী পাল্টা জবাব দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিই শুনতে চাননা। এটা অস্বস্তিকর… সেসময় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানা তৈরি করতে না পারে।
