



সাশ্রয় নিউজ ডেস্ক ★ কলকাতা : গত ২৭ মে অবনীন্দ্র সভাঘরে রুমেলার দাপটকে উপেক্ষা করে শব্দবাণী আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকা ও লীনা পাবলিকেশন এর ২য় বর্ষপুর্তি জন্মদিন পালন, গুণীজন সম্মর্ধনা ও ২৪টি পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে সৈয়দ খায়রুল আলম। তাইওয়ান থেকে বিঞ্জানী ডাঃ অমিতাভ দত্ত এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার উপদেষ্টা-মণ্ডলীর উপদেষ্টা প্রধান কবি বরুণ চক্রবর্তী, কবি ডঃ পিনাকী বসু, ডঃ তপন দে, ডঃ এমদাদ হোসেন, উপদেষ্টা লিপিকা ব্যানার্জি প্রমুখ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ওই দিনে অনুষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে ২৪টি বইয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে ‘নবাঙ্কু’ -এর ট্যাবলয়েড পত্রিকাটির আত্মপ্রকাশ।
পত্রিকাটিতে স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের আঁকা এবং লেখায় ভরিয়ে তুলেছে। যা এই পত্রিকাটি ছোটদের মন জয় করেছে। সেই সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে ‘শব্দ বাণী’ আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকার প্রথম বছরের দ্বিতীয় সংখ্যা সমন্বয়।পত্রিকাটিতে ভারত ও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের লেখকদের লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সেইসঙ্গে এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রত্না চ্যাটার্জি। নৃত্য পরিবেশন করেন সৃজা চ্যাটার্জী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন ডঃ তপন দে, রত্না সেন গুপ্ত, রামা গুপ্ত ও শুচেতা গাঙ্গুলী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারু রূপে সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সেঁজুতি বসু।
এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন লেখক লেখিকারা। মুর্শিদাবাদ এবং বাঁকুড়া থেকে এসেছিলেন পত্রিকার দুই সম্পাদক ময়ূখ মুখোপাধ্যায় ও কৌশিক কুণ্ডু।অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে গাছ বিতরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বানীব্রত বলেন, আগামী প্রজন্মকে তুলে আনার জন্য তাদের এক বিশেষ প্রচেষ্টাই নবাঙ্কুর পত্রিকা এছাড়াও প্রান্তিক অঞ্চলে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি সামাজিক কাজেও শব্দবাণী আন্তর্জাতিক সাহিত্য পত্রিকা থাকবে।
এই কর্মযজ্ঞগুলো তাঁরা আগামীতে করবেন এই অনুষ্ঠানের আগে ৪০ জন পত্রিকার সদস্য পদ গ্রহণ করেন৷ পত্রিকার পক্ষ থেকে চারজনকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া, তাঁরা হলেন বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক সুনির্মল চক্রবর্তী, বিশিষ্ট উপন্যাসিক অজিতেশ নাগ এবং হেমন্ত সরখেল। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই দিনে সুন্দরভাবে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন : Maharagni : কাজল ও প্রভু দেবার এক ফ্রেমে ফিরতে সময় লাগল প্রায় ২৭ বছর
