



আজ বাংলা ১১ জ্যোষ্ঠ। কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী। বিশেষ দিনে কবিকে নিয়ে কলম ধরলেন : মমতা রায় চৌধুরী
১১ জ্যৈষ্ঠ : স্মরণে নজরুল
“ভুল হয়ে গেছে বিলকুল
আর সবকিছু ভাগ হয়ে গেছে
ভাগ হয়নিকো নজরুল” -অন্নদাশঙ্কর রায়।
বাংলা কাব্যের শান্ত স্থির, স্ফটিক স্বচ্ছ সরোবরে যিনি উত্তাল সমুদ্র তরঙ্গ গর্জন নিয়ে এলেন, যিনি শোনালেন বাঁধা বন্ধনহারা, দুর্বার চির যৌবনের বন্দনা গান- তিনি নজরুল ।
“যারা কেড়ে খায় ৩৩ কোটি মুখের গ্রাস
যেন লেখা হয় আমার রক্তলেখায় তাদের সর্বনাশ?” যিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন সামাজিক ব্যভিচার, অন্যায়, ভণ্ডামি, সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির বিরুদ্ধে, যার অগ্নিক্ষরা চোখে ছিল বিপ্লবের অশনি সংকেত তিনি-ই নজরুল।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কবি নজরুল ইসলাম ধুমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম তৎকালীন অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত জামুরিয়া থানার অধীনস্থ চুরুলিয়া গ্রামে, ১৮৯৯ খ্রীস্টাব্দের চব্বিশে মে। তিনি বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সঙ্গীতকার কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত।
রবীন্দ্রনাথ তাই অনায়াসে লিখেছিলেন….
“আয় চলে আয় রে ধুমকেতু,
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু,
দুর্দিনের এই দুর্গশিরে
উড়িয়ে দে তোর বিজয়কেতন,
অলক্ষণের তিলক রেখা,
রাতের ভালে হোক না লেখা,
জাগিয়ে দে রে চমক মেরে ,
আছে যারা অর্ধচেতন।”
কবির এই বাণী যে কতটা নির্ভুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আজও বাঙালি জাতিকে ঘুম থেকে জাগানো যায়নি। এ কথা বলতেই হচ্ছে আজ বাঙালি ব্যস্ত শুধু ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে চারিদিকে শুধু রাজনৈতিক তরজা হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে মঞ্চ গরম করার আওয়াজ অথচ এই সাম্যবাদী কবি সমস্ত ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে ডাক দিয়েছিলেন সাম্যের। যিনি বিষ্ণুর বুকে পদচিহ্ন এঁকে খোদার আসন আরশ ছেদিয়া আত্মপ্রকাশ করেছিলেন “বিদ্রোহী” কবি হিসেবে। তাঁর জন্মদিনে তাঁকে কতটা স্মরণ করলাম যদি একটু ঘুরে দেখি বা বুকে হাত রেখে বলি তাহলে বলতেই হয় তাঁকে হেঁসেল ঘরে কেন , বৈঠকখানায় পেরতে দিতেও আমাদের কুণ্ঠা। সত্যি একজন বাঙালি হিসেবে এটা লজ্জার ব্যাপার।
_____________________________________________
মানবিকাধিকার হরণ যেখানে শোষণ -শাসন -নির্বাক বিস্তার, অসাম্যের নির্লজ্জ উদ্ধত আস্ফালন, যেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উল্লাস মত্ততা, পরাধীনতার নাগপাশ বন্ধন যেখানে কৃত্রিমতা সেখানেই তিনি সোচ্চার কণ্ঠ প্রতিবাদে মুখর। লাঞ্ছিত মানবতা তাঁর কল্পনাকে করেছে আলোড়িত।
_____________________________________________
ভাবার সময় এসেছে কিন্তু আমরা ঘুমিয়ে আছি।
এখন যেভাবে সমাজ জীবনে রাষ্ট্রিক জীবনে অস্থিরতাময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তাই ভাবার সময় এসেছে সাম্যবাদী নজরুলের আজ প্রাসঙ্গিক, অনেকটাই। কিন্তু আমরা আছি অর্ধচেতনায়। তাই ভাবার সময় এসেছে চারিদিকে একটু তাকিয়ে যদি দেখি, তাহলে আমরা বুঝব নজরুলের সাম্যবাদ, মানবতাবাদ, মৈত্রীর বন্ধন কতটা জরুরি।
নজরুল “বিদ্রোহের কবি “,”বৈভবের কবি” কিন্তু কার বিরুদ্ধে এই জেহাদ? আসলে যেখানেই তিনি দেখেছেন মানবতার লাঞ্ছনা, ধর্মের ছদ্মবেশে মানবিকাধিকার হরণ, যেখানে শাসন , শোষণ-ত্রাসের নির্বাধ বিস্তার, অসাম্যর নির্লজ্জ উদ্ধত আস্ফালন, যেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উল্লাসমত্ততা, পরাধীনতার নাগপাশ এর বন্ধন যেখানে, কৃত্রিমতা যেখানে, সেখানেই তিনি সোচ্চার কণ্ঠ। প্রতিবাদে মুখর। লাঞ্ছিত মানবতা তাঁর কল্পনাকে করেছে আলোড়িত। সেই আলোড়ন অনুভব উৎসারিত ‘তাই লিখে যাই এ রক্তলেখা’।
তাঁর কাব্যে প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর উচ্ছল যৌবনেরই পদধ্বনি। তিনি তরুণ মনের সঞ্চার করেন যৌবনের উদ্দাম গতির ছন্দ। নিস্তরঙ্গ জনসমাজের বুকে আনেন নব যৌবনের ঢল। স্বাধীনতা অগ্নিমন্ত্রে দেশবাসীকে করেন চঞ্চল, আবেগ অস্থির। তাঁর একমাত্র উপলব্ধি “মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই ,নহে কিছু মহী়য়ান”।
তিনি পান করেছেন সমাজ মথিত গরল। বুকে তাঁর বিষজ্বালা। কিন্তু সাধনায় মেতেছেন অমৃতের, সুন্দরের ধ্যান স্তব গান করাই তাঁর উপাসনা ধর্ম।
বারবার নজরুলের কবিতা গানে ফুটে উঠেছে বিদ্রোহের তান। নজরুল বিদ্রোহের কবি, বৈভবের কবি কিন্তু কার বিরুদ্ধে এই জিহাদ? আসলে যেখানেই তিনি দেখেছেন মানবতার লাঞ্ছনা, র্মের ছদ্মবেশে মানবিকাধিকার হরণ যেখানে শোষণ -শাসন -নির্বাক বিস্তার, অসাম্যের নির্লজ্জ উদ্ধত আস্ফালন, যেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উল্লাস মত্ততা, পরাধীনতার নাগপাশ বন্ধন যেখানে কৃত্রিমতা সেখানেই তিনি সোচ্চার কণ্ঠ প্রতিবাদে মুখর। লাঞ্ছিত মানবতা তাঁর কল্পনাকে করেছে আলোড়িত। সেই আলোড়ন অনুভব উৎসারিত “তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা”
কবি নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। সাহিত্যের মতো নজরুলের জীবনও ছিল বিচিত্র আর বহু বর্ণিল। সাহিত্যের মতো নজরুলের জীবন ছিল বিচিত্র তার সেই বিচিত্র জীবনের কতটুকুই বা আমরা জানি! নজরুলের জীবন কোনও নিয়মের বেড়াজালে বন্দী ছিল না। যখন যা ভালো লাগত তিনি তা সবই করতেন। সাহিত্য সঙ্গীতের সেবায় ও নজরুল নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। শুরু হয়েছিল মহাজীবন সাধনার ব্রত। তাঁর এই বিদ্রোহী মনোভাবের জন্য তাঁকে কারাবরণও করতে হয়েছিল। বাংলা সাহিত্যের জগতে নজরুলই প্রথম কবি যিনি তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য কারাদণ্ড ভোগ করেন।
সত্যের খাঁটি উপাসক চড়া গলার কবি নজরুল জাতি ধর্মের ঊর্ধ্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলেই তিনি লোকপ্রিয়। তাই মানুষের কবি। তিনি বাংলা সাহিত্য এবং বাঙালির জীবনে প্রবল উন্মাদনা সঞ্চার করেছিলেন। কবির এক হাতে অসি, অপর হাতে বাঁশি। কাব্য রচনার সমস্ত রকম অভ্যস্ত নীতি নিয়মকে অতিক্রম করে যে অবিমিশ্র নবীনতার স্বাদ এনেছিলেন তাঁর কবিতায় কালবৈশাখীর রুদ্র রূপকে মনে করায়। কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র বলেছেন, “নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের জগতের ছন্দময় এক দুরন্ত ঝটিকা বেগ।”
দেশের স্বাধীনতার জন্য নজরুলের বিদ্রোহ প্রাণশক্তির উত্তাল তরঙ্গ একদিন দেশকে প্লাবিত করেছিল। সমসাময়িক ঘটনা ব্যক্তিকে নিয়ে আর বহু কবিতা দেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রেরণা হয়েছিল। স্বভাবত নজরুল একজন সৎ দেশপ্রেমিক কবি। তিনি নিজের ধ্যানে যাকে সত্য বলে অনুভব করেছেন তাকে প্রকাশ করতে কখনএ দ্বিধাবোধ করেননি। উচ্চারণ করেছেন “অমর বাণী সত্যের প্রকাশিকা, ভগবানের বাণী।”
পরাধীন ভারতবর্ষে নজরুলের জন্ম। তিনি ছিলেন মহাবিদ্রোহী, তাই দুর্দান্ত বিদ্রোহ পরিচালিত হয়েছিল পুরাতন সংস্কার জরাজীর্ণ চিন্তাধারা পুরাতন সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। অপরদিকে বিদেশি শাসনের কঠোর বন্ধন মুক্তির দিকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের তিনি একজন বীর সৈনিক। ব্রিটিশ সিংহের ভ্রূকুটি অগ্রাহ্য করে প্রবল প্রতাপান্বিত রাজশক্তির বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন, তাঁর রচনার মধ্যে দিয়ে, বাণীর মধ্যে দিয়ে দেশবাসীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন।
বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম বিশ্বাস করতেন, রাজার বাণী হল বুদবুদের মত। আর কবির বাণী বাঁধন-হারা সমুদ্র। কিন্তু সেই সমুদ্রকেই করা হয় শৃঙ্খলিত। সত্যের বাণী রাজ বিচারে রাজদ্রোহী বলে চিহ্নিত হয়। বন্দী করা হয়। আইন যেখানে ন্যায়ের রক্ষক, সত্যের নয়। -সেখানে স্বাধীনতা নেই, থাকতে পারে না। কবি বারবার নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের মর্মবেদনা এবং তাদের স্বাধিকারের দাবি সোচ্চারে প্রকাশ করে ‘বিদ্রোহী’ আখ্যা লাভ করেছেন। স্বদেশ তথা স্বজাতির দুঃখ দুর্দশা তাঁকে গভীরভাবে বিচলিত করেছিল।
অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনও আপোস নয়-অধীনতা দাসত্ব শৃঙ্খল থেকে মুক্তিই একমাত্র পথ। মহাবিপ্লবের পুরোহিত নজরুল কবি ও দ্রষ্টা তিনি আশার কবি। মানবতার কল্যাণরথ সর্বদা সামনের দিকে চালাতে হবে আর সেই কারণেই যুগ পরিবর্তনের বার্তাবাহক ন্যায়ের শাসকের তারহীন মন্ত্রবার্তা বারবার তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে। নজরুল ছিলেন সত্যের প্রতি ন্যায়ের প্রতিদায়বদ্ধ আর তার এই সত্য-নিষ্ঠার কারণেই তাকে শৃঙ্খলিত হতে হয়। অত্যাচারের কথা প্রকাশ করার জন্যই বিদ্রোহী আখ্যায় ভূষিত হহয়েছিলেন। রক্ত চক্ষু শাসকের শোষণে পিষ্ট হতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার কণ্ঠ রোধ করা যায়নি, মৃত্যু মিছিলের মধ্যে দিয়ে প্রত্যক্ষত হয়েছেন যুগান্তরের ধর্মরাজ যুগে যুগে পাপকে বিনাশ করে অধর্মকে ধ্বংস করে সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য পাঞ্চজন্য আহ্বান করেছিলেন দ্বীপান্তরের পালাবদলের জন্য যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে মুক্তির সম্ভব। বারবার ‘দীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতাতে সেই বার্তা ধ্বনিত করেছেন।
দারিদ্র্যের সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম করে যার শৈশব অতিবাহিত হয় দুবেলা আহারের সংস্থান করা কাজী পরিবারে যখন অসম্ভব হয়ে পড়ে তাঁর পিতার প্রয়াণের পরে নজরুলের জীবনে তাই শৈশবের আনন্দঘন কোন পরিবেশ ছিল না। জীবনে ঘা খেয়ে খেয়ে জীবন যুদ্ধে বারবার তাই অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছেন।
নজরুল সার্থকভাবে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার কবি অনুরূপ ভৌগোলিক পরিবর্তনে কবির সৃষ্টির অখণ্ডতা ক্ষুন্ন করতে পারেনি, পারবেও না। তিনি যেমন কোনওদিনই গতানুগতিকতার স্রোতে চলেননি, তেমনি তাঁর সৃষ্টির বৈচিত্র বাংলার কোমলকান্ত নিস্তরঙ্গ জীবনে উৎসাহ উদ্দীপনার সঞ্চার করে বৃহত্তর মুক্ত জীবনের ডাক শুনিয়েছিলেন। অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন বলেই হয়ত শেষ জীবনে কবি নির্বাক বোধহীন এবং কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়েন। ১৯৭৬ খ্রীস্টাব্দের ২৯ আগস্ট ভারতের এই বিদ্রোহী কবি অসংখ্য কাব্য অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, দোলনচাঁপা, ভাঙ্গার গান, ফনিমনসা, সাম্যবাদী, সর্বহারা, সিন্ধু হিন্দোল, ঝিঙে ফুল, এবং সঙ্গীতগ্রন্থ চন্দ্রবিন্দু সুরসাকি, গানের মালার স্রষ্টা বাংলাদেশের ঢাকা শহরে চির শান্তির লোকে পাড়ি দেন। মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত কবি চির শান্তির কোলে ঘুমিয়ে পড়েন।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কবির মৃত্যুর পর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বলেন, “তাঁর সক্রিয় জীবনে কবি যা লিখেছেন তা তাঁকে বাংলা সাহিত্য অমর করে রেখেছে ।তাঁর মৃত্যু ভারত এবং বাংলাদেশকে রিক্ত করে দিয়েছে।”
পরাধীনতার শৃংখল যাকে ব্যথিত করেছিল স্বাধীনতা আনয়নের জন্য তিনি লড়েছিলেন, সেই স্বাধীনতা এসেছিল এক বাংলা বিভক্ত হয়ে দুই বাংলার রূপে। কিন্তু নজরুলকে বিভক্ত করা যায়নি। কারণ তিনি ছিলেন দুই বাংলার যোগাযোগের একমাত্র সেতু। তাই কবি সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছিলেন, “ভুল হয়ে গেছে বিলকুল/ আর সবকিছু ভাগ হয়ে গেছে/ ভাগ হয় নি কো নজরুল।”
কবি নজরুল তখনো তিনি ছিলেন প্রাসঙ্গিক আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক। যেভাবে চারিদিকে অন্যায়, অত্যাচার, ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতির করালছায়া চারিদিকে বেষ্টন করে আছে তাকে ছিন্ন করতে এই প্রতিবাদী সাম্যবাদী কবি নজরুলের দরকার বাঙালি জাগো আর ঘুমিয়ে থেক না, তাঁর প্রতিবাদী সত্তাকে জাগ্রত করে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করো। হে কবি তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধা, প্রণাম। এই দুর্দিনে আর একবার এসো এই ধরাধামে এটাই আকুতি।
সূত্র : রচনা প্রদীপ ও অন্তর্জালিক।
ছবি : সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Exhibition : তিন দিনের চিত্রপ্রদর্শনী
