Sasraya News

Kavya Maran | ক্যামেরার সামনে কাব্য মারান, ট্রোলের কেন্দ্রবিন্দু সানরাইজার্সের মালকিন!

Listen

শর্মিষ্ঠা সাহা মৈত্র, সাশ্রয় নিউজ ✪ কলকাতা : প্রতিবারই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) মাঠে নামলেই, নজর থাকে কেবল খেলোয়াড়দের দিকেই নয়, স্টেডিয়ামের একটি নির্দিষ্ট কর্নারে বসে থাকা এক তরুণীর দিকেও। অভিব্যক্তিতে যেন ম্যাচের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। কখনও উল্লাস, কখনও হতাশা, কখনও চোখ ভেজা আবেগ। তিনিই কাব্য মারান (Kavya Maran) সানরাইজার্সের সহ-মালকিন, সান গ্রুপের চেয়ারম্যান কলানিধি মারান (Kalanithi Maran)-এর কন্যা। আইপিএল (IPL)-এর বাইশ গজের বাইরের সবচেয়ে চর্চিত মুখ হয়ে উঠেছেন কাব্য। স্টেডিয়ামে তাঁর প্রতিক্রিয়া যেন আলাদা এক থ্রিল। আর ক্যামেরা, যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কাব্যকে খুঁজে বের করবেই! কখনও রাগে চোখ লাল, কখনও দুই হাতে মুখ ঢেকে হতাশা, আবার কখনও হাততালির সঙ্গে জয়োল্লাস সবটাই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরিণতিতে তৈরি হয় অসংখ্য মিম। কাব্য নিজেও জানেন, তিনি কেবল মালকিন নন, বরং মিমজগতের একটি পরিচিত চরিত্রও।

কাব্য মারান। ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই মিম কালচারের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কাব্য বলেন, “আমি নিজেও আবেগ দিয়ে খেলা দেখি। স্বাভাবিকভাবে আমার অভিব্যক্তি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। আর সেটাই মানুষকে বিনোদন দেয়। হায়দরাবাদে থাকলে আমি একই জায়গায় বসি। কিন্তু যখন বাইরে যাই, তখন একটু আড়ালে থাকি। তাও ক্যামেরাম্যান আমায় খুঁজে বার করেই ফেলে!” তবে এই ট্রোলিং বা মিম নিয়ে তাঁর কোনও রাগ নেই। উলটে সেটা উপভোগই করেন বলে জানান। তাঁর কথায়, “এগুলো নিয়ে হাসি পায়। কখনও কখনও মজাও লাগে,” বলেন কাব্য। যদিও ২০২৪ সালের ব্যর্থতা কিছুটা চেপে বসেছে। এবারের আইপিএলে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও পরের দিকে ছন্দ হারায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হারের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছিল কাব্যের মুখের ভাষাও। সেই বদলই শিকার করে নিয়েছে ট্রোল-দুনিয়া। ‘ইয়ে দুখ কাহে খতম নেহি হোতা’, ‘রুলা দিয়া না বেচারি কো’ এই সংলাপগুলো দিয়ে বানানো হয়েছে একের পর এক মিম। কখনও হিন্দি সিনেমার আবেগঘন দৃশ্যের সঙ্গে বসানো হয়েছে কাব্যের মুখ, কখনও আবার তাঁর অভিব্যক্তির সঙ্গে মিলিয়ে লেখা হয়েছে নতুন সংলাপ। সেই সব ছড়িয়ে পড়েছে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স (প্রাক্তন টুইটার) জুড়ে। তবু কাব্যের ভালবাসায় কোনও ঘাটতি নেই। তিনি স্পষ্ট বলছেন, “আমি শুধু মালকিন নই। আমি মানসিকভাবে দলের সঙ্গে যুক্ত। ওদের জয়-পরাজয় আমার নিজেরই অনুভব হয়।” তার জলজ্যান্ত প্রমাণ মেলে গত আইপিএলের ফাইনালে। ম্যাচ হারার পর ড্রেসিংরুমে গিয়ে নিজে হাতে খেলোয়াড়দের তিনি উজ্জীবিত করেন। সেই মুহূর্তের ভিডিওও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কাব্য মারান। ছবি : সংগৃহীত

উল্লেখ্য, শুধু ভারত নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগেও আছে সানরাইজার্সের দল, সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ (Sunrisers Eastern Cape)। সেখানে অবশ্য ভাগ্য বেশি প্রসন্ন। ২০২৩ ও ২০২৪, দু’বছরই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কাব্য নিজেও মাঝে মাঝে সেই দলের সঙ্গেও মাঠে থাকেন। তবে হায়দরাবাদ যেন তাঁর মনের সবটুকু জুড়ে আছে।সমালোচনার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস অটুট রেখে কাব্য বলেন, “আমি আমার মতো করে দলকে ভালোবাসি। মিম, ট্রোল, ক্যামেরা সবটা জীবনেরই অংশ। কিন্তু মাঠে যখন আমার দল নামে, তখন আমার চোখে শুধুই ওদের জন্য প্রার্থনা থাকে।” খেলার মাঠে যখন নায়ক হয় ব্যাট-বল, গ্যালারিতে তখন সমান আলো ছড়ায় একটি মুখ। নাম তাঁর কাব্য মারান। ট্রোলের ঝড়েও তাঁর আভিজাত্য অটুট। কারণ তিনি জানেন, ক্রিকেট কেবল খেলা নয়, আবেগ। আর সেই আবেগে তিনি নিজেকে নিঃশেষে বিলিয়ে দিয়েছেন।

ছবি: সংগৃহীত 
আরও পড়ুন :Kaviya-Anirudh Marriage Gossip | কাব্য-অনিরুদ্ধ: সম্পর্কের গুঞ্জনে তোলপাড় বিনোদনমহল, বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন সুরকার

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment

Also Read