



কালনায় খুন, অভিযোগ স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে
সাশ্রয় নিউজ : পূর্ব বর্ধমান জেলার ঐতিহ্যমণ্ডিত ১০৮ শিব মন্দির খ্যাত কালনা শহরে দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উৎপল গুপ্ত (৪৯) নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি এফএমসিজি-এর ডিস্ট্রিবিউটর ছিলেন। পূর্বে তাদের সচ্ছল অবস্থা ছিল পরবর্তী ক্ষেত্রে পারিবারিকভাবে আর্থিক টানাপোড়নের মধ্যে যাচ্ছিলেন। শোনা যায়, ধার দেনার মধ্যেও জড়িয়ে গিয়েছিলেন উৎপল বাবু। এমনকী স্বামী স্ত্রী দু’জনেই আলাদা আলাদা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। এই ঘটনায় সকলে ধন্দে থাকলেও কেউ কেউ বলছেন যে, তার সন্তান এবং স্ত্রী মিলেই উৎপলকে কাটারি দিয়ে গলায় কোপ মেরেছেন এমন সন্দেহজনক অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, তারা রক্ত দেখে উৎপল বাবুর বাড়ির দিকে ছুটে যান। তারা দেখেন, রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন উৎপল। শোনা যায়, গত ৮ অক্টোবর, ২০২২ শনিবার অনুমানিক বিকেল ৪টে নাগাদ ঘটার পরে স্থানীয় পাড়ার লোকেরা কালনায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে খোঁজ খবর নিয়ে পুত্রকে আটক করে। মৃত ব্যক্তির পুত্র সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই উৎপল বাবুর স্ত্রীর খোঁজে পুলিশ। স্ত্রী পলাতক। এর ফলে স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, বিশেষসুত্রে জানা যায়, পুলিশের কাছে মৃতের পুত্র জবানবন্দি দিয়েছে, বাবার সঙ্গে তার ধস্তাধস্তিতে কাচের ওপর পড়ে গিয়ে বাবার মৃত্যু হয়। তবে কারও কারও মতে, ঘটনা ঘটার আগের দিন বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে পুরস্কার নিতে দেখা গিয়েছে। অথচ তারপরের দিনই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে স্থানীয় মানুষজন বিশ্বাস করতে পারছেন না।
কীভাবে শান্ত মস্তিষ্কে এরকম একটি ঘটনা ঘটাতে পারে এই নিয়ে সকলেই ধোঁয়াশায় আছেন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, স্ত্রী আর সন্তান দুজনে নিয়মিত বেল্ট দিয়ে আঘাত করত উৎপলকে। সম্ভবত ছেলেটি কলেজ পড়ুয়া। উৎপল ও তার স্ত্রী বিয়ে করেছিলেন পরস্পর ভালবেসে।
আবার কারও কারও অভিযোগের ভিত্তিতে এও জানা যায় যে, পারিবারিক সম্পত্তির ঝামেলার জেরেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে অবশ্য অনেকেরই দাবি, না সেরকম কিছু নয় , তাদের স্বামী-স্ত্রীর ভেতরের মনোমালিন্যের জেরেই হয়ত এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তবে উৎপল গুপ্ত নিয়মিত মদ্যপান করতেন। তা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন যে, ‘উনি মাঝে টিউশন করাতেন সেখানে ছেলেমেয়েরা পড়তে গিয়ে দেখতে পেয়েছে উৎপল বাবু তার স্ত্রী-এর হাতেই প্রহৃত হচ্ছেন।
আজকে কালনা আদালতে মৃতব্যক্তির সন্তানকে হাজির করলে, আদালত তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ছবি : প্রতীকী
