



বহরমপুর ভাসল আলোর উৎসবে
সৌমিক দাস ★ বহরমপুর : আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর ছিল কালীপুজোয় বাঙালির শিরেসংক্রান্তি হবে সিত্রাং। হলও তাই। এখন পর্যন্ত খবর, শক্তি বাড়াচ্ছে সিত্রাং।

ইতিমধ্যে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এই নিম্নচাপ দীপান্বিতা কালীপুজোয় বেশ বড় প্রভাব রেখে যাচ্ছে। বহু মণ্ডপ সজ্জা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক মণ্ডপ ভেঙে গিয়েছে। যা বাঙালির কাছে কোনওভাবেই প্রার্থণীয় ছিল না।

এই প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভেতরেও দেবীর আরাধনায় কোথাও ঘাটিতি রাখেননি পুজো উদ্যোগক্তারা।

কলকাতার পুজোমণ্ডপ গুলির পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের মণ্ডপ ও প্রতিমাসজ্জ্বা চোখে পড়ার মতো।

শহরের ক্লাব, পাড়ার মোড় এছাড়াও আনাচে কানাচে বহু মণ্ডপে পুজিত হলেন মা কালী। বিষ্ণুপুর কালিবাড়িতে দর্শনার্থীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি ছিল। এছাড়াও ঐতিহ্যশালী পুজোগুলির মধ্যে ছিল,

ব্যারাক স্কোয়ারের পাশে চতুষ্কোণ-এর কালীপ্রতিমা। ছোটর ভেতর অনবদ্য মণ্ডপ সজ্জা এই পুজো কমিটির। শ্রী শ্রী রক্ষাকালী থান কমিটির পুজো মণ্ডপে ভিড় ছিল বেশ।

এছাড়াও খাগড়া, ইন্দ্রপ্রস্থ, কাশিমবাজার, সৈদাবাদ প্রভৃতি জায়গায় পুজিত হয়েছেন দেবী। একজন পুজো কমিটির উদ্যোগক্তা বললেন, নিম্নচাপের জন্য এবারের পুজোর আনন্দ ম্লান হয়ে গেল।

প্রতি বছর বহরমপুর শহরে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ আসেন প্রতিমা দর্শনের জন্য। এবার সেই সংখ্যা খুবই কম।

নিম্নচাপ যতই ক্ষমতাধর হয়ে উঠুক না কেন, আলোর উৎসবে শহর ভাসল আলোকসজ্জা।
