



সাশ্রয় নিউজ ডেস্ক ★ কলকাতা : জুনিয়র ডাক্তারদের হামলার ছকের অভিযোগে গ্রেফতার সিপিআই(এম) নেতা কলতান দাশগুপ্ত (Kalatan Dasgupta)। একটি অডিও ক্লিপ সামনে নিয়ে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি সাশ্রয় নিউজ)। তৃণমূল মুখপাত্র দাবি করেন, “অডিও ক্লিপে যে দুই ব্যক্তির গলা শোনা যাচ্ছে তার একপারে রয়েছে রয়েছেন এমন এক ব্যক্তি যার নামের আদ্যক্ষর ‘স’। অন্যপারে যিনি রয়েছেন তাঁর নামের আদ্যক্ষর ‘ক’।” তারপরই শুক্রবার সঞ্জীব দাশ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অতঃপর শনিবার সিপিআই (এম) নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার হন। কলতানের গ্রেফতারির ঘটনায় সিপিআই (এম) নেতা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশের প্রথম কাজ ছিল কুণালকে হেফাজতে নেওয়া। উনি এই অডিয়ো ক্লিপ কোথা থেকে পেলেন, কে দিল এগুলো জানতে হবে। আমার তো মনে হয় কুণালবাবু ও তাঁর লোকজন ডাক্তারদের আন্দোলন ভাঙার জন্য এটা তৈরি করেছে। এই গ্রেফতারি স্ক্রিপ্টেড। কুণালবাবু তো বলবার চেষ্টা করেছিলেন এর পিছনে বামপন্থী সংগঠন যুক্ত আছে। সেটাকে মান্যতা দেওয়ার জন্য হয়তো কলতানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু আমার মনে হয় এটাও সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় আনা উচিত। সিবিআইয়ের তদন্তকে বিপথে পরিচালনা করার জন্যই এসব হচ্ছে।” বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য -এর কথায়, “তৃণমূল বামেদের আক্রমণ করছে বলে বার্তা দিতে চাইছে। কিন্তু একইসঙ্গে দুর্ভাগ্যবশত এই তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম পায়ে পা মিলিয়ে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করছেন।” শমীক বাবু প্রশ্ন তোলেন, “কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে? অডিও ক্লিপ কী করে কুণাল ঘোষের কাছে গেল? আর তার ভিত্তিতেই বা পুলিশ গ্রেফতার করল কীভাবে? আসলে তৃণমূল কংগ্রেস অসহিষ্ণু দল। কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারকে খুব একটা গণতান্ত্রিক বলা যায় না। তিনি নাশকতার ছক কষছিলেন এরকম কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু, আমি তাঁকে যতদূর চিনি তাতে আমার মনে হয় না তিনি এরকম কাজ করার মতো মানুষ নন। তাই আমাদের মত এই গ্রেফতারি একটা স্বৈরাতান্ত্রিক পদক্ষেপ ছাড়া কিছু নয়।”
ছবি : সংগৃহীত
