



পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায় : সাংবাদিকতা (Journalism) গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মনে রাখতে হবে যে, সংবাদমাধ্যম জনগণের কণ্ঠস্বর প্রকাশ করে, সরকারের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি তুলে ধরে। সাংবাদিকতা (Reporter) পেশার মূল ভিত্তি হল সততা, নিরপেক্ষতা, এবং জনস্বার্থ রক্ষার জন্য সত্যকে তুলে ধরা।
সাংবাদিকতা তখনই প্রকৃত অর্থে শক্তিশালী হয়, যখন তা স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হয়। সরকারের উচিত সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা করা।

অতএব, সাংবাদিকদের পেশাগত স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীল কর্মযোগ্যে কোনও প্রকার সরকারি হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। সাংবাদিকেরা যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন, তাহলে সরকারের উচিত তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করা। এবং তাদের উপর অযথা বিধিনিষেধ চাপিয়ে না দেওয়া। সরকারের হস্তক্ষেপের ফলে সাংবাদিকতার মৌলিক নীতি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। যেমন লক্ষ্যণীয়—
সংবাদ পরিবেশনের স্বাধীনতা হ্রাস পাবে, যা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক দিক। শুধু তা-ই নয়, জনগণের তথ্য জানার অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। যা একটি মুক্ত সমাজের ভিত্তিকে দুর্বল করে।
সরকারি হস্তক্ষেপের ফলে সাংবাদিকরা ভয়ভীতি ও চাপের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য হবেন। এতে তাদের সৃষ্টিশীলতা ও সাহসিকতাকে সীমিত করবে।

অন্যদিকে, সাংবাদিকদেরও মনে রাখতে হবে যে, তাদের দায়িত্ববোধ ও পেশাগত সততা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। সত্যতা যাচাই না করে ভুল তথ্য প্রচার করা, গুজব ছড়ানো, বা পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশন করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।
সাংবাদিকতা (Reporter) তখনই প্রকৃত অর্থে শক্তিশালী হয়, যখন তা স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হয়। সরকারের উচিত সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা করা। পাশাপাশি সাংবাদিকদের উচিত পেশাগত নৈতিকতা মেনে চলা।
সাংবাদিকদের স্বচ্ছ কাজে সরকারী হস্তক্ষেপ একেবারেই অনুচিত। সরকারের দায়িত্ব সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা করা, এবং সাংবাদিকদের দায়িত্ব সৎ, নিরপেক্ষ, এবং দায়িত্বশীল থেকে সমাজকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করা। সাংবাদিকতার এই মুক্ত পরিবেশই গণতন্ত্রের শেকড় মজবুত করে।
ছবি : প্রতীকী
আরও পড়ুন : Mutton Curry : জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের মন জিততে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু মাটন কষা
