



পিনাকী চৌধুরী ★ কলকাতা : রাষ্ট্রশক্তি এবং দেশের আমজনতার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে মুখরিত হোক ২০২৪ সালের এই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) সাম্য ও মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হোক এক সুন্দর ছন্দের ‘ভারত নিকেতন’। যাবতীয় ভেদাভেদ ভুলে প্রতিটি দেশবাসীর আর্থিক সংস্কার সুরক্ষিত হোক। কাগজে কলমে নয়, রাষ্ট্রশক্তি দেশের প্রান্তিক মানুষজনের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। বাক্ সংযম অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু দেশের প্রতিটি মানুষ বাক্ স্বাধীনতা ফিরে পাক। অন্ততপক্ষে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে অভ্যস্ত হোক। রাষ্ট্রশক্তির রোষানলে কেউ যেন না পড়ে। দূর হোক বর্ণ বৈষম্য।
নারীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় রাষ্ট্রশক্তি সদা তৎপর হয়ে উঠুক। বিলাসবহুল জীবনযাপন নয়, দেশের মন্ত্রী সান্ত্রীরা খুবই সাধারণ মানের জীবন যাপন করুন ! ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট অসংখ্য বিপ্লবীদের আত্মবলিদানে ভারত বহু প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করেছিল। সাদা চামড়ার ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানে ভারত পেয়েছিল দেশীয় শাসকদের। কিন্তু এই ২০২৪ সালে এসেও অবস্থার তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। ১৫ আগষ্ট মহাসমারোহে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হবে গুরুগম্ভীর ভাষণ দেবেন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ! দেশাত্মবোধক গানে মুখরিত হবে আকাশ বাতাস। এমনকি অতীতের দেশনায়কদের স্মরণ করা হবে। কিন্তু দেশের প্রান্তিক, অবহেলিত মানুষজন তে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই থেকে গেছেন! বাজারী টিভি চ্যানেলগুলো ওঁত পেতে রয়েছে। পান থেকে চুন খসলেই তারা সারাদিন ধরে ব্রেকিং নিউজের নামে ঘ্যানঘ্যান করবে। মিশে গিয়ে নয়, তবে মিলেমিশে একাকার হয়ে হয়ে রাষ্ট্রশক্তি এবং দেশের আমজনতার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে মুখরিত হোক প্রগতিশীল নতুন ভারতের জয়গান।
ছবি : সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Reclaim The Night : স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতে কেউ ফোন করবেন না : উদয়ন গুহ
