



সাশ্রয় নিউজ ★ বাঁকুড়া : চলন্ত ট্রেনের ভেতর এসি কামরায় ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষামহলে। পুরুলিয়া (Purulia) মেডিক্যাল কলেজের এক মহিলা অধ্যাপিকাকে শ্লীলতাহানির (Physically assaulted) অভিযোগ উঠেছে, সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Sidho Kanho Birsha University) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সোমবার (১০ জুন) হাওড়া (Howrah) থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। ধৃতকে ওইদিনই বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়, যেখানে বিচারক তাঁর ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অধ্যাপকের বাড়ি কলকাতার বাগুইহাটি (Baguihati, Kolkata) এলাকায়। অভিযুক্তের পরিচয় সামনে আসতেই শিক্ষাজগতে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। কারণ, যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তিনি এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৬ রাতে। অভিযোগকারিণী, পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি হাওড়া স্টেশন থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেসের (Chakradharpur Express) এসি কামরায় ওঠেন পুরুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে। অভিযোগ, ২৭ মে ভোররাতে ট্রেনটি বিষ্ণুপুর (Bishnupur) স্টেশনের কাছাকাছি আসতেই কামরায় থাকা অপর এক সহযাত্রী আচমকাই তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। তিনি আপত্তি জানালে ওই সহযাত্রী আরও বিরূপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ। সকালে ট্রেন বাঁকুড়া স্টেশনে থামতেই ওই মহিলা অধ্যাপিকা তৎক্ষণাৎ রেল পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর বাঁকুড়া জিআরপি (GRP, Bankura) তৎপর হয়ে তদন্ত শুরু করে। তবে অভিযুক্ত ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দেন। প্রায় দু’সপ্তাহ পর সোমবার হাওড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-র ৭৪, ৬৪ এবং ৬২ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃত অধ্যাপককে এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, বিষয়টি তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
ছবি : প্রতীকী
আরও পড়ুন : Manali | মানালি: পাহাড়ি রূপকথার পাতায় ছুটি কাটানোর ঠিকানা
