Sasraya News

Deepika Padukone | স্তনের আকার নিয়ে মন্তব্য, শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন দীপিকা

Listen

বসুধা চৌধুরী ★ সাশ্রয় নিউজ : বলিউডে পা রাখার অনেক আগেই নিজের আত্মসম্মান রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone)। কেরিয়ারের গোড়ার দিকেই একটি চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনলেন এই বলিউড অভিনেত্রী।

ছবি: সংগৃহীত

দীপিকা একটি অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপন শ্যুটের সময় পরিচালকের কুরুচিকর মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে সরাসরি সেট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। আজকের এই প্রতিবাদী দীপিকার ইতিহাস যে আরও অনেক পুরনো। তা যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা।

ছবি: সংগৃহীত

দীপিকার মতে, গ্ল্যামার দুনিয়ায় প্রথম পা রাখার পর থেকেই তাঁকে নানা রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। মডেলিং জগতে সাফল্য পাওয়ার পর তাঁর বিজ্ঞাপন জগতে সুযোগ মিলেছিল। সেই সময় এক অন্তর্বাস ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং চলছিল। দীপিকা তখন পেশাদার মডেল হিসেবে যথেষ্ট নাম করেছিলেন। কিন্তু সেই নাম, সেই অবস্থান কোনও নিরাপত্তা দিতে পারেনি শ্যুটিং ফ্লোরে। এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, শ্যুটিংয়ের মাঝেই পরিচালকের আচরণ অদ্ভুতভাবে পাল্টে যায়।ফটোশ্যুট চলাকালীন দীপিকা একের পর এক পোজে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছিলেন। কিন্তু পরিচালক হঠাৎ বলে ওঠেন, “ঠিক জমছে না।” এই কথায় প্রথমে কিছুটা হতচকিত হলেও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পরক্ষণেই যা বললেন সেই পরিচালক, তা শুধু অশালীন নয়, সম্পূর্ণ কুরুচিকর এবং অপমানজনক। পরিচালক বলেন, “তোমার স্তন বেশ ছোট, এই বিজ্ঞাপনের জন্য বড় স্তন দরকার।” দীপিকা জানান, তিনি চুপ করে শুনছিলেন, কিন্তু এরপর যা বললেন পরিচালক, তা শুনে তাঁর আর ধৈর্য রইল না। পরিচালক নাকি বলেন, “চিন্তা কোরো না, পোস্ট প্রোডাকশনে তোমার স্তন বড় করে দেব। দরকার হলে অপারেশন করে বড় করে নাও।” পরিচালকের এমন মন্তব্যে দীপিকা শুধু অবাকই হননি বরং সঙ্গে সঙ্গে সেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁর কথায়, “আমি ওই মুহূর্তে ওঁর সঙ্গে তর্ক করিনি, কোনও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়নি। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত একবারেই স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছিলাম, এই বিজ্ঞাপন আমি করব না।’’ এ কথা জানিয়ে সরাসরি ফ্লোর ছেড়ে তিনি বেরিয়ে যান।

ছবি: সংগৃহীত

এই ধরনের অভিজ্ঞতা বহু অভিনেত্রীকে নীরব করে দেয়। ভয়ে অনেকেই এমন অপমান সহ্য করেন কেরিয়ার বাঁচাতে। কিন্তু দীপিকা শুরু থেকেই ব্যতিক্রমী। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “যখন কেউ আপনাকে অসম্মান করে, তখন চুপ করে থাকা মানেই সেই অসভ্যতাকে স্বীকৃতি দেওয়া। আমি নিজের শরীর নিয়ে কখনও অনিশ্চয়তায় ভুগিনি। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্যই বলে দেয় কার সামনে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন।” এটাই প্রথমবার নয়, দীপিকা বহুবারই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি দক্ষিণী একটি বিগ বাজেট ছবি থেকে সরে এসেছেন। কারণ প্রযোজনা সংস্থা দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজের দাবি জানিয়েছিল। নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকেই প্রাধান্য দিয়ে দীপিকা কোনও আপস না করেই ছবিটি ছেড়ে দেন। এই ধরনের অবস্থান দীপিকার কেরিয়ারে হয়ত কিছু কাজ হারানোর কারণ হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু একজন শিল্পী ও একজন নারীর সম্মানের দিক থেকে তা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। বলিউডের অনেক নবাগত অভিনেত্রী আজও যখন নানা শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হন। তখন দীপিকার এই সাহসিকতা শুধুই ব্যক্তিগত নয়, বরং তা সমগ্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক বার্তা বহন করে। একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী যখন খোলাখুলি এই ধরনের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার কথা বলেন, তখন তা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতির খতিয়ান থাকে না। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষাও হয়ে ওঠে, কখন-কোথায়, কীভাবে ‘না’ বলতে হয়। দীপিকা পাড়ুকোনের সেই ‘না’ বলার ক্ষমতা, তাঁর শক্তি। আর সে জন্যই হয়ত তিনি আজকের দীপিকা।

ছবি : সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Nimrat Kour Skin care tips | রূপচর্চা ও ত্বকের যত্ন নিতে কী বললেন নিমরত!

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment

Also Read