



সাশ্রয় নিউজ ★ নতুন দিল্লি : ভারতে ২০২৫ সালের মে মাসের শেষদিকে কোভিড-১৯ (Covid-19) পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। ৩১ মে পর্যন্ত দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২,৭১০-এ পৌঁছেছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৫১১ জন বেশি। এই সময়ের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগেরই পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল।
বর্তমানে কেরালা রাজ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ দেখা গেছে, যেখানে ১,১৪৭টি সক্রিয় করোনা কেস রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এরপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র (৪২৪) এবং দিল্লি। কর্নাটক, কেরালা এবং উত্তরপ্রদেশে নতুন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া পাওয়া যায়!
উল্লেখ্য, জানা যায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ও লক্ষণ বৃদ্ধির পেছনে JN.1 নামক একটি নতুন ওমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। অধিকাংশ সংক্রমণের লক্ষণ হালকা। যেমন জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও ক্লান্তি।
কেন্দ্রীয় সরকার-এর স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্রিয় রয়েছে। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যেখানে টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন, চিকিৎসা ও টিকাকরণ কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও হাসপাতালে কোভিড মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও পরিকাঠামো নিশ্চিত করার জন্যও বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা এবং যাদের পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। জনসাধারণকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। যদিও সংক্রমণের মাত্রা পূর্বের তুলনায় কম, তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি এবং সংক্রমণের বৃদ্ধি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। জনসাধারণের সচেতনতা ও সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন : PAAP: A Dramatic Rendition of Samaresh Basu’s “Pap-Punya”
ছবি : প্রতীকী
