



CMOH নিগৃহ রোগীর বাড়ির লোকজনের দ্বারা
সাশ্রয় নিউজ : মুর্শিদাবাদ জেলা সিএমওএইচ নিগ্রহের ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। গতকাল বিধায়ক নিয়ামত সেখ ও জেলাপরিষদ সভাধিপতি শামসুজ্জোহার সামনে নিগৃত হন সিএমওইচ ডাঃ সন্দীপ সান্যাল। চিকিৎসক তথা সি এম ও এইচ নিগ্রহের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। এক-চিকিৎসকের বক্তব্য, রোগীর পরিবারের দ্বারা জনপ্রতিনিধিদের সামনে যদি চিকিৎসক তথা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিগৃহীত হন, তাহলে অন্য সাধারণ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা কোথায়?
অন্য আরেক চিকিৎসকের বক্তব্য, তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু মারধোর! ভাবা যায় না! যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাঁর সম্পর্কে অভিযোগ না দিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, জেলা সিএমওএইচ ডাঃ সন্দীপ সান্যাল-এর অফিসে রোগীর বাড়ির লোকজন এসে নিগৃহ করেন। জানা যায় যে, এই ঘটনার সময় রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ছিলেন হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখ ও জেলাপরিষদের সভাধিপতি শামসুজ্জোহা। নিগৃহীত CMOH সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁদের সম্পর্কে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার। রোগীর পরিবাসুত্রে খবর, বহরমপুর-এর বুটারডাঙায় বাড়ি গুলবাহার সেখ। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল-এ পেট ব্যথা নিয়ে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে গুলবাহারের অ্যাপেনডিক্স হয়েছে বলে জানান। এবং অপারেশন করেন। অপারেশনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবার পেটে সংক্রমণ হয়। হাসপাতালে যে চিকিৎসক গুলবাহারের অপারেশন করেন, তাঁর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করেন গুলবাহার। ওই চিকিমৎসক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে নির্দেশ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে গোলবাহার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর পুনরায় অপারেশন করেন ওই চিকিৎসক। ক’য়েকদিনের ভেতর হাসপাতাল বিল ধরায়, প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। রোগীর পরিবারের দাবি, যে চিকিৎসকের জন্যে রোগীকে পুনরায় অপারেশন করাতে হল, সেই চিকিৎসককে আমরা জানাই। বে-সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করার মতো সামর্থ নেই। আপনার গাফিলতির জন্যে অপারেশনে সংক্রমণ হয়। আপনাকেই মেটাতে হবে হাসপাতালের বিল। ওই চিকিৎসক প্রথমে দেবেন বললেও পরে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন বলে দাবি তাঁদের। হতভম্ব হয়ে পড়েন রোগীর বাড়ির লোকজন।
বুধবারের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিগ্রহের ঘটনায়, ওই দিনই ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
