



পিনাকী চৌধুরী ★ কলকাতা : আগামী ২ অক্টোবর মহালয়া। আর মহালয়া হল একটি তিথি, পূর্বপুরুষদের তর্পণ করবার পরেই যেন আমবাঙালি উৎসবের চোকাঠে পা দেন। তারপর শুরু হয় দেবীপক্ষ। তবে আজও বাঙালি মহালয়ার কাকভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র-এর (Birendra Krishna Bhadra) উদাত্ত কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে ভোলেন না। বেতারে প্রথম সম্প্রচারের পর কেটে গেছে ৯৪ বছর। কিন্তু আজও যেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী এক অমোঘ আকর্ষণ!
বস্তুত এর কোনও বিকল্প নেই। রেলের চাকরির পাট চুকিয়ে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র বেতারে নাম লিখিয়েছিলেন, জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবেতেই তিনি অগ্রগণ্য। ১৯৭৬ সালে একবার মহানায়ক উত্তম কুমার-এর (Uttam Kumar) কণ্ঠে মহালয়ায় ‘দুর্গতিহারিণীম’ পরিবেশিত হয়েছিল। কিন্তু শ্রোতাদের পছন্দ হল না, তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিলেন। বাধ্য হয়ে ওইবছর মহাষষ্ঠীর দিনে আবার বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী পরিবেশিত হল। শোনা যায়, স্তোত্রপাঠ করবার সময় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র পট্টবস্ত্র পরিধান করতেন এবং ধুপ ও দীপ জ্বালাতেন। তদানীন্তন সময়ে বেতারে স্টাফ আটির্স্টদের পেনশন ও গ্র্যাচুয়িটির সুবিধা ছিল না। প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের সামান্য কিছু টাকা নিয়ে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়েছেন বহুবার এবং দেবী প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করেছিলেন। আসলে এই মহান শিল্পীকে কেউই যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করেনি!
ছবি : সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Sonakshi Sinha : ‘ওঁরা নিজেরা ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। ওঁরা জানেন ভালবাসার অর্থ’ : সোনাক্ষী সিনহা
