Sasraya News

Anubrata Mondal : অনুব্রত মণ্ডল ফের শিরোনামে: কী এমন করলেন তিনি?

Listen

সাশ্রয় নিউজ ★ বোলপুর : বীরভূমের বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রশাসনের অন্দরমহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও অনুব্রত মণ্ডল এদিনও বোলপুর থানায় হাজিরা দেননি। ‘অসুস্থতা’-র কারণ দেখিয়ে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাওয়া চিকিৎসকের সার্টিফিকেট তদন্তকারী অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন উল্লেখ। তবে সেই সার্টিফিকেট নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধছে। পুলিশের একটি অংশের দাবি, সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাই করে দেখা হবে।

অন্যদিকে, এই ঘটনার জেরে তৃণমূল কংগ্রেসও বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বর্তমানে সেই পদে নেই। তবে তিনি জেলার ৯ সদস্যের কোর কমিটির সদস্য ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটিতেও রয়েছেন। এহেন এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

ঘটনার সূত্রপাত বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে এক ফোনালাপকে কেন্দ্র করে। একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই অডিও ক্লিপ সত্যতা সাশ্রয় নিউজ যাচাই করেনি)। সেখানে শোনা যায়, অনুব্রত মণ্ডল ফোনে আইসি-কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। এমনকি আইসি-র মা ও স্ত্রীকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আইসি-কে ‘চুলের মুঠো ধরে’ কোয়ার্টার থেকে টেনে বের করে আনতে হবে— তিনি এমন হুমকিও দিয়েছেন বলে উল্লেখ। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, অনুব্রত মণ্ডলের এই ধরনের আচরণ নতুন নয়। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পাঁড়ুইয়ের এক জনসভা থেকে প্রকাশ্যে পুলিশের উপর বোমা মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে বোলপুরের শিবপুরে ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ঘড়ি দেখিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সরব হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯ জুন বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির দাবিতে বড়সড় মিছিলের আয়োজন করা হবে। শুভেন্দুর কথায়, “যিনি প্রকাশ্যে পুলিশকে গালিগালাজ ও হুমকি দেন, তাঁকে ছাড় দেওয়া যায় না। রাজ্যের আইনের শাসন বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে অবিলম্বে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করতে হবে।”
অন্যদিকে, তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে খুবই অস্বস্তিতে আছেন। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলের শীর্ষ নেতারা চাইছেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হোক। যদিও প্রকাশ্যে কেউ-ই এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের ঢেউ উঠতে পারে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রভাবশালী নেতাদের কি আদৌ আইনের চোখে সমানভাবে বিচার করা হবে? নাকি আবারও রাজনীতির চাপে প্রশাসনকে পিছু হটতে হবে? সময়ই সেই উত্তর দেবে।

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন : Sourav Ganguly : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়: এক লড়াকু অধিনায়কের কাহিনি

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment

Also Read