



আমেরিকায় দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির ছোবল!
সাশ্রয় নিউজ : আমেরিকায় মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। কেন এই দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি? স্থানীয় মানুষজনের বক্তব্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ অনেক। তবে সাধারণ মানুষের ওপর দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে গিয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মতে, ‘আমেরিকায় জিনিসপত্রের দাম বেশ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ১৯৭০ -এর পর থেকে সেখানে দ্রব্যমূল্য কখনো এতোটা বাড়েনি।’
ওই সংবাদমাধ্যম আরও জানাচ্ছে, বাইডেন সরকারও উদ্বিগ্ন মূল্যবৃদ্ধির জন্যে। রান্নার গ্যাসের দামে লাগাম টানার জন্যে সরকার দেশের তেল সংরক্ষণ থেকে একটা বড় অংশ ছাড় ঘোষণা করেছেন। নভেম্বরে একটি নির্বাচন আছে মার্কিনমুলুকে। ওই নির্বাচনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে সামনে রেখে লড়বে ওই দেশের বিরোধী দল। নির্বাচনটিকে পাখির চোখে রেখেছেন ওঁরা।
একজন মার্কিনবাসী বলেন, রান্নার গ্যাস, নিত্য খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদির দাম বৃদ্ধির জন্য ফুড প্যান্ট্রিতে গিয়ে সাহায্যের হাত পাততে হয়েছে তাঁদের।
ওই সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, দেশটিতে এক কার্টুন ডিমের মূল্য তিন ডলার। ১০ শতাংশের বেশি মুরগীর মাংসের দাম বেড়েছে। মুদিখানা দ্রব্যের দাম বেড়েছে অনেক। দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছিল, কোভিড-১৯-এর গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সময় থেকেই। একইভাবে তখন থেকেই বাধাপ্রাপ্ত হয় খাদ্যশস্য উৎপাদনও। গৃহবন্দী মানুষ, হোটেল ও রেস্তোরাঁমুখী হননি সেইসময়। সম্প্রতি ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধও প্রভাব ফেলেছে আমেরিকার কৃষিজ উৎপাদন ব্যবস্থায় বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। মার্কিন দেশে এবছর আর মূল্যস্ফীতির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানাচ্ছে বহুজাতিক সংস্থাগুলি।
আরও সমস্যার মধ্যে পড়বেন জনসাধারণ। সুতরাং মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাথায় হাত! মার্কিন প্রেসিডেন্ট মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেই দিকে পাখির চোখে চেয়ে থাকবে বিশ্ব।
