Sasraya News

Thursday, June 19, 2025

Extramarital Affairs: বউ বাচ্চাদের রেখে মাসী শ্বাশুড়ির সঙ্গে চম্পট দিল যুবক

Listen

সাশ্রয় নিউজ ★ গোঁডা : উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোঁডা (Gonda) জেলা থেকে উঠে এল একটি চাঞ্চল্যকর সম্পর্কের (Extramarital Affairs)  কাহিনি। স্বামী নিজের স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেল তাঁর শ্বাশুড়ির বোনের সঙ্গে। চার বছরের সম্পর্কের জটিলতায় জড়িয়ে একসময় পরিবার গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া ওই যুবকের নাম জানা যায়, ইরফান (Irfan)। তাঁর এখন স্ত্রী প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ন্যায়বিচারের আশায়।

উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর বিয়ের হয় ওদের। শুরু হয়েছিল এক দাম্পত্য জীবন। নবাবগঞ্জ (Nawabganj), বহরাইচ (Bahraich) থানার অন্তর্গত ইরফান ইসলামি রীতিতে বিয়ে করেছিলেন গোঁডার এক তরুণীকে। বিয়ের পরে তাঁদের ঘরে আসে তিন সন্তান। এক পুত্র (বর্তমানে ৬ বছর বয়স) ও দুই কন্যা (৫ ও ৪ বছর বয়স)। পরিবার ছিল পরিপূর্ণ, ভবিষ্যৎ ছিল স্বপ্নে মোড়া।

লখনউ (Lucknow)-তে বসবাস শুরু করার কিছুদিন পর থেকেই ধীরে ধীরে গড়াতে শুরু করে সম্পর্কের চাকা। ইরফান লখনউতে অটো চালিয়ে সংসার চালাতেন। তাঁর জীবনে প্রবেশ করেন স্ত্রীর সগোত্রীয় আত্মীয়া, অর্থাৎ স্ত্রীর ‘মৌসির’ বা মাসী শ্বাশুড়ি। গোঁডার খরগুপুর (Khargupur) থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে ওই নারী ২০১৮ সালে স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর শোকের সময় লখনউতে আসতেন বোনঝির কাছে। প্রথমে স্বাভাবিক মনে হলেও কিছুদিন পর স্ত্রী বুঝতে পারেন, মনের গভীরে জমতে শুরু করেছে এক অন্যরকম সম্পর্ক। স্ত্রীর অভিযোগ, ওই মৌসি ও ইরফান চার বছরের বেশি সময় ধরে গোপন সম্পর্কে ছিলেন। এতদিন চাপা ছিল সেই প্রেম। গত ছ’মাস আগে জানতে তিনি পারেন। স্বামী-স্ত্রীর মুখোমুখি প্রতিবাদের পর রূপ নেয় এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে। ইরফান স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে পালিয়ে যান মৌসির সঙ্গে। সম্পর্কের নামে এই বিশ্বাসঘাতকতা ইরফানের স্ত্রী’র মনে এক প্রলয় এনে দেয়। অথচ তিনি তখন তিনটি ছোট সন্তানকে নিয়ে বাঁচার লড়াইয়ে ব্যস্ত।

এই ঘটনায় ন্যায় চেয়ে ইরফান নামের ওই যুবকের স্ত্রী প্রথমে লখনউর ঠাকুরগঞ্জ (Thakurganj) থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। পরে গোঁডার খরগুপুর ও ধানেপুর (Dhanepur) থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, এখানও কোনও ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। কোথাও যেন থমকে রয়েছে ন্যায়বিচারের গতি। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা নিয়ে অবশেষে গোঁডা জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে (Gonda SP Office) পৌঁছান ওই নারী। তাঁর দাবি, এই সম্পর্ক শুধুই অবৈধ নয়, বরং এটি পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামোর ওপর আঘাত। উল্লেখ্য, আইনি দিক থেকে বিষয়টি জটিল হলেও, এর নৈতিক দিক আরও বেশি আলোচনার দাবি রাখে। নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে এক পুরুষ যখন তাঁর স্ত্রী’র আত্মীয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তখন সেটি শুধু একটি দাম্পত্য সম্পর্কের ভাঙন নয়, সমাজের চিরাচরিত মূল্যবোধকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে। এই পুলিশ সূত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ। যদিও স্থানীয়ভাবে জানা যাচ্ছে, ইরফান ও তাঁর সঙ্গে পালানো নারী কোথায় আছেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা এখনও লখনউতেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, তাঁরা রাজ্যের বাইরে চলে গিছেন।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে উঠে আসে যে কঠিন প্রশ্ন, তা হল : যেখানে ন্যায়বিচারের জন্য একজন নারী ও তিনটি শিশু কাঁধে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, সেখানে কি প্রশাসন সময়মতো ব্যবস্থা নেবে? সমাজ কি এই ধরনের সম্পর্ককে চুপচাপ মেনে নেবে, না কি এদের বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান নেবে? প্রসঙ্গত, আজ ওই স্ত্রী কেবল বিচারের আশায় দিন গুনছেন। তিন সন্তানকে সামলে, নিজের মানসিক ভাঙন লুকিয়ে, তিনি চাইছেন শুধু একটি জবাব, এই সম্পর্কের মূল্য কে দেবে? সমাজ নাকি আইন? উত্তর এখন ভবিষ্যতের হাতে।
ছবি : প্রতীকী
আরও পড়ুন : Shreyas Iyar : বাবা হলেন শ্রেয়স! নায়িকার উল্লাস

Sasraya News
Author: Sasraya News

Leave a Comment