



সাশ্রয় নিউজ ডেস্ক ★ কলকাতা : সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় কংগ্রেসের সমর্থন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury on Late Bhattacharjee)। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

বৃহস্পতিবার বাংলার আকাশে শোকের ছায়া। মাঝে মাঝেই বৃষ্টি। অশ্রু সিপিআই(এম) নেতা কর্মীদের চোখেও। সকাল ৮:২০ টায় পরলোকগমন করেন বর্ষীয়ান সিপিআই(এম) নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। শোকপ্রকাশ করেছেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রর প্রাক্তন সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। অধীরবাবুর কথায় ‘একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তাঁর গোটা রাজনৈতিক জীবনে কখনও সততা থেকে বিচ্যূত হননি। কখনও কোনও দুর্নীতি, স্বজনপোষণ করার কোনও অভিযোগ আজ পর্যন্ত বাংলায় কেউ করতে পারেনি। পরে আবার মনে করেছি সিঙ্গুরে বিরোধিতা না করলেই মনে হয় ভাল হতো। আজ বাংলায় দুর্নীতি ও রাজনীতি একে অপরের পরিপূরক হয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে এই কথা বলা যেতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও যদি বুদ্ধবাবুর এই চরিত্রটা রপ্ত করতে পারে, বাংলা বাঁচবে বলে মনে হয়।”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকেই তিনি সিওপিডি’তে (COPD) আক্রান্ত ছিলেন। মাঝে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার পরে শেষ দিন পর্যন্ত প্রাক্তন জননেতার চিকিৎসা চলছিল দক্ষিণ কলকাতার পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতেই। বৃহস্পতিবার সকালে ৮০ বছর বয়সে অন্তিম নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee )। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ইতিহাস সৃষ্টি করা ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট জমানা শেষ হয়। পদত্যাগ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০০-২০১১ সাল পর্যন্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। এর আগে তিনি জ্যোতি বসু মন্ত্রীসভাতেও মন্ত্রীত্ব সামলান। উল্লেখ্য যে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি : সংগৃহীত
